আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ, আওয়ামী আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত সচিব, উপসচিব ও কর্মকর্তাদের বহিষ্কার এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্তদের চুক্তি বাতিলসহ ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্যে (এএফসি) নামের একটি সংগঠন।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই কর্মসূচির আয়োজন করে সংগঠনটি ।
সমাবেশে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক রাফিদ ভুঁইয়া ৬টি দাবি উপস্থাপন করেন।
দাবিগুলো হলো- পুলিশের সংস্কার করা, প্রয়োজনে নাম ও ড্রেসকোড পরিবর্তন করে লোগো থেকে নৌকার ছবি সরানো, আন্দোলনকালে যেসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আক্রমণের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত বিচারের আওতায় আনা, আওয়ামী আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত সচিব সহ বিভিন্ন কর্মকর্তাদের বহিষ্কার ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। এছাড়াও গত ১৫ বছরের সরকারি নিয়োগ পুনঃনিরীক্ষণ করতে হবে এবং আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করে নেতৃবৃন্দকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানায় সংগঠনটি।
সমাবেশে লেখক মোহাম্মদ ইসরাক আজিজ ফাহিম বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাকে যেন গ্রেপ্তার না করা হয়। এটা প্রজ্ঞাপন আকারে আসা উচিত। আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের মামলায় এখন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে যা এই আন্দোলনের স্পিরিট ধরে রাখতে পারছে না। তাছাড়া, ফ্যাসিস্টদের বসানো রাষ্টপতিকে এখনো অপসারণ করা হয়নি। আমরা দ্রুত তার অপসারণের দাবি জানাই।
আইন ও শৃঙ্খলা বিষয়ক সম্পাদক সাখাওয়াত জাকারিয়া বলেন, আমরা ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে এই বাংলাদেশ পেয়েছি। কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি পুলিশ পুরনো ফ্যাসিবাদকে ফেরানোর চেষ্টা করছে। মব জাস্টিসকে বৈধতা দিচ্ছে। পুলিশের ড্রেসটা এখন মানুষের কাছে আতংকের হয়ে উঠেছে। দেশে শৃঙ্খলা আনতে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা আনতে হবে এবং পুলিশকে সংস্কার করতে হবে।
এছাড়াও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম তানিম, দপ্তর সম্পাদক আবরার অহিন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সালমান সাজেদ প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।
বিডি প্রতিদিন/আশিক