ফেনী জেলার দাগনভূঞার রাজাপুরে সন্ত্রাসীদের হামলায় প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতরা ফেনী ও দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। আহতদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ঘটনায় মোশাররফ হোসেন নামে এক বিএনপি নেতা বাদী হয়ে জেলা যুবদলের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সবুজকে প্রধান আসামি করে আরও ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩৫/৪০ জনকে আসামি করে দাগনভূঞা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই রাজাপুর ইউনিয়নজুড়ে ইসমাঈল হোসেন সবুজের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ নানা অপকর্ম করে আসছে। তাদের এ অপকর্ম রুখতে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী মিলে এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে রাতে পাহারাসহ সবুজের সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে থাকে। এতে সবুজ ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) রাতে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে যারা রাতে এলাকার শান্তি রক্ষায় পাহারা দিচ্ছে তাদের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। তাদের বাড়িতে গিয়ে নারীদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে ও ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। তাদের হামলায় পুরুষ ও নারীসহ প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে।
বিএনপি নেতা মোশাররফ হোসেন রাজাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও স্থানীয় বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফের ছেলে । এ বিষয়ে মামলার বাদী মোশাররফ হোসেন বলেন, সবুজ ও তার সন্ত্রাসীবাহিনী আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। মামলা কেন করেছি তার জন্য আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের প্রকাশ্যে হত্যা করার হুমকি দিয়ে আসছে। সবুজ ও তার সন্ত্রাসীবাহিনীর অব্যাহত হুমকিতে আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা সবুজ ও তার সন্ত্রাসীবাহিনীর হামলা থেকে জীবন বাঁচাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে ফেনী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খোন্দকার বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কোনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সমর্থন করে না। সবুজের বিষয়ে যে অভিযোগ এসেছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি।
দাগনভুঞা থানার ওসি আবুল হাসিম জানান, হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ