আওয়ামী লীগের হাতে অসংখ্য খুনের রক্ত। মানুষের উপর জুলুম, নির্যাতন ও গণহত্যা চালিয়ে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে চেয়েছিলো বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ। শুক্রবার বরিশাল নগরীর ওয়ার্ড জামায়াতের দায়িত্বশীলদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। নগরীর গীর্জা মহল্লার একে ইনস্টিটিউশনের হলরুমে অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আওয়ামী সরকার ক্ষমতার শুরুই করেছে রক্তাক্ত হাত নিয়ে। ক্ষমতা গ্রহণের কিছুদিনের মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহের নামে এদেশের চৌকষ মেধাবী দেশপ্রেমিক সেনা সদস্যদের হত্যার মাধ্যমে তারা শাসন শুরু করে। এই সেনা হত্যার মাধ্যমে তারা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল করে দেয়।
তিনি অভিযোগ করেন, অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনে রাতের আঁধারে শাপলা চত্ত্বরে নিরীহ আলেম উলামা ও ধর্মপ্রাণ মানুষের উপর নির্মম গণহত্যা চালানো হয়েছে। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি দিয়ে একদিনে দেড় শতাধিক মানুষকে হত্যা করেছে। শাহবাগে আন্দোলনের নামে চিহ্নিত ইসলাম বিদ্বেষী ও নাস্তিকদের জড়ো করে স্বাধীনতার স্বপক্ষের ও বিপক্ষের নামে দেশবাসীকে বিভাজিত করেছে।
রাজনৈতিক আন্দোলন সফল না হওয়ার ফলে সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে জুলাই বিপ্লব হয়েছে জানিয়ে এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, দেশের সকল শ্রেণির মানুষ এ হাসিনা সরকারের পতনের জন্য রাস্তায় নেমে এসছিলো। এটি কোনো একক দলের বা ব্যক্তির কৃতিত্ব নয়। নারী সমাজ এই আন্দোলনে তাদের শিশু সন্তান নিয়ে রাজপথে এসেছে। এমন গণআন্দোলন পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
আন্দোলন বানচাল করার জন্য সম্পূর্ণ অবৈধ পন্থায় জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, বৃহত্তর স্বার্থে আমরা শক্ত প্রতিবাদ করিনি। আমাদের চাওয়া ছিল বিপ্লব সফল হোক।
এ সময় তিনি বলেন, দেশকে সংস্কার করা না গেলে জনগণের ভোটাধিকার ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই আগে নির্বাচনী সংস্কার করা জরুরি। নতুন করে সংস্কার করতে সময়েরও প্রয়োজন। দেশ সংস্কারের কাজ করছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সে কাজটি সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে জামায়াত।
বরিশাল মহানগর আমির ও কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মু. বাবরের সভাপতিত্বে ও মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মো. মিজানুর রহমান, মহানগর কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা জয়নুল আবেদিন, মাওলানা শহিদুল ইসলাম, আবু আব্দুল্লাহ, মাওলানা হাসান আতিক, তারিকুল ইসলাম, মাওলানা শফিউল্লাহ তালুকদার, অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান আমিন, মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, মোস্তাফিজুর রহমান অধ্যাপক আনোয়ার হোসাইন, অধ্যাপক সুলতানুল আরেফিন, মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের শহিদ প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এএ