লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যাটালিয়নের (৬১ বিজিবি) অতিরিক্ত পরিচালক মেজর এ এফ এম জুলকার নাঈন বলেছেন, লালমনিরহাট সীমান্তের কোনো জায়গায় সংখ্যালঘুর ওপর হামলা হয়নি। স্বার্থান্বেষী একটি চক্র গুজব ছড়িয়ে দেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছে। যার ফলে সীমান্তে মানুষের ঢল নেমেছিল। অবশ্য গুজবের বিষয়টি তারা বুঝতে পেরেছেন। গতকাল দুপুরে হাতীবান্ধা থানার হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আপনাদের ওপর কোনো হামলা হবে না। যেহেতু কোনো হামলা হয়নি সে ক্ষেত্রে আপনাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আপনারা নিজ নিজ বাসাবাড়িতে থাকুন। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। যোগাযোগ রাখলে আমরা আপনাদের নিরাপত্তা দিতে পারব। তিনি বলেন, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বা অন্য যে কোনো ধর্মের যারা রয়েছে আমরা সবাই বাংলাদেশি। তাই আপনাদের নিরাপত্তা প্রদান সবার কাছে এখন গুরুত্বপূর্ণ। বিজিবি ও বিওপিগুলোর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সীমান্ত এলাকার অন্য ধর্মাবলম্বী কারও ওপর কোনো ধরনের আঘাত আসেনি। এ সময় তিনি পুলিশসহ সব ধরনের প্রশাসনকেও সহযোগিতা দেওয়ার কথা বলেছেন। এ সময় হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহফুজার রহমানসহ পুলিশ ও বিজেপি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকালে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় গুজব ছড়িয়ে পড়লে ৩ শতাধিক সংখ্যালঘু মানুষ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ভিড় করে। পরে ভারতীয় বিএসএফ ও বাংলাদেশের স্থানীয় প্রশাসন ভিড় করা লোকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা তাদের বাড়িতে ফিরে যায়।