বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ও আহতদের সুস্থতা কামনায় গত ১৬ আগস্ট দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছিলেন সৌদি আরবের আবহা ও মাহাইল প্রবাসীরা। সেখানে বহু বাংলাদেশি প্রবাসী জড়ো হয়েছিলেন। পরে সেখানে ‘আইন অমান্যের’ অভিযোগে আট বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে সৌদি পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- চট্টগ্রামের বাঁশখালীর জয়নুল আবেদীন, রহমত উল্লাহ, খলিলুর রহমান ও ওমর ফারুক; সাতকানিয়ার সামিউল ইসলাম, মোহাম্মদ ইউসুফ, সেলিম উল ইসলাম এবং বান্দরবানের মো. আশরাফুল ইসলাম। তাদের মধ্যে কয়েকজন পরিবারসহ সৌদি আরবে আছেন।
গতকাল বিকালে গ্রেপ্তার সেই আট প্রবাসীর মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন তাদের স্বজনরা। সেখানে গ্রেপ্তার প্রবাসীদের স্ত্রী, মা, সন্তান, স্বজনসহ বেশ কয়েকজন প্রবাসীও অংশ নেন। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন গ্রেপ্তার প্রবাসী জয়নুল আবেদীনের মেয়ে মিফতাহুল জান্নাত জেসি। তিনি বলেন, আমার বাবা ১৫ বছর ধরে সৌদি আরবে আছেন। তিনিই আমাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তিনি ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ আর আহতদের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে সৌদি আরবে গ্রেপ্তার হয়েছেন। অনেক দিন বাবার কোনো খবর পাচ্ছি না। আমাদের প্রতিটি মুহূর্তই কাটছে যন্ত্রণায়।
জয়নুল আবেদীনের স্ত্রী রুবি আক্তার ডেইজি বলেন, স্বামী সৌদি আরবের কারাগারে বন্দি আজ ২২ দিন ধরে। তিন মেয়ে আর এক ছেলেকে নিয়ে আমার এক একটা দিন কাটছে এক একটা বছরের মতো। আমার স্বামীসহ গ্রেপ্তার আট প্রবাসীকে মুক্তির জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ ছাড়া মানববন্ধনে বক্তব্য দেন গ্রেপ্তার প্রবাসী হাফেজ রহমত উল্লাহর ভাগ্নে এহসানুল হক, মেয়ে তাহমিনা আকতার আর বোন তাহেরা বেগম; সেলিম উল ইসলামের ছেলে মো. কাউসার, মেয়ে সামিরা সুলতানা সানজি; মো. ইউসুফ সিকদারের স্ত্রী উসরাতুল আকতার, ছেলে আবদুল্লাহ সাহাল ও মেয়ে সুমাইয়া সুলতানা।