নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, শামীম ওসমান কাপুরুষ। তিনি হচ্ছেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার অন্যতম দোসর। তিনি ২০০১ সালের মতো এবারও তার নেতা-কর্মী রেখে বোরকা পরে পালিয়েছেন। গতকাল বিকালে জালকুড়ি কড়ইতলায় কাজীবাড়ি মাঠে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গিয়াসউদ্দিন বলেন, প্রশাসনকে সব সময় সহযোগিতা করতে হবে। ৫ আগস্ট থেকে ফতুল্লায় যারা লুটপাট, ভাঙচুর চালিয়েছে তারা কারা আপনারা জানেন। তাদের তালিকা প্রশাসনকে দেবেন। না পারলে আমাদের দেবেন। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো আপস নেই। আমি তাদের ক্ষমা করব না।
তিনি আরও বলেন, তারা মীরজাফর। তারা দলের সঙ্গে বেইমানি করেছেন, নৌকা নিয়ে নির্বাচন করেছেন। নৌকা মার্কার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক হতে পারে না। এদের সঙ্গে আমাদের দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ। বিএনপির নামধারী নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করে গিয়াস বলেন, এত দিন সিংহের সঙ্গে লড়াই করেছি। ভয় পাইনি। বরং সে নিয়মিত আমার ভয়ে ভীত ছিল। এখন বিড়াল আমাকে ভেংচি দেয়। তাদের তওবা করতে হবে। তাদের বলব এখন সময় আছে তওবা করে মূলধারায় ফিরুন। সন্ত্রাসী-লুটপাট ছাড়ুন। মানুষের কল্যাণে কাজ করুন। কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী ভূইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার ও জেলা যুবদলের সদস্যসচিব মশিউর রহমান রনিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী।