দেশের বার অ্যাসোসিয়েশনসমূহের ফেডারেশন বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতির সভাপতি শাহ মোহাম্মদ খসরুজ্জামান অবিলম্বে ‘মুক্ত বিনিয়োগ নীতি’ ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন। সংবাদপত্রে দেওয়া এক বিবৃতিতে আইনজীবীদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে তিনি এ দাবি জানান। সিনিয়র অ্যাডভোকেট খসরুজ্জামান তাঁর বিবৃতিতে বলেন, বিদেশে পাচার করা এবং দেশে লুকিয়ে রাখা অলস টাকা উৎপাদন খাতে বিনিয়োগে অর্থনীতি চাঙা করতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি বলেন, অর্থ বাজার থেকে লাখো কোটি টাকা উধাও এবং অনুৎপাদন খাতে বিনিয়োগ হওয়ার কারণে দেশ আজ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে।
এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে এবং দেশের অর্থনীতিকে চাঙা করতে বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভরতা ক্রমশ হ্রাস করে করদাতাদের ওপর চাপ না দিয়ে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করার পথ বের করতে হবে। সেক্ষেত্রে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে দেশের বিত্তশালী ব্যক্তি এবং করদাতাদের শিল্প, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ স্বাস্থ্য ও গৃহায়ন সম্পর্কিত সব ধরনের ব্যবসাসহ আমদানি ও রপ্তানিখাতে চলতি অর্থবছরের জন্য বিনিয়োগ তথা ব্যবসায়িক নতুন মূলধনের ওপর কর মওকুফ করতে হবে। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড যেমন বিনা বাধায় বিনা প্রশ্নে মেনে নেয় সেরকম সুযোগ চলতি বছরের জন্য এদেশের ব্যবসায়ীদের দেওয়া হলে বিদেশে পাচারকৃত এবং এদেশে লুকায়িত অর্থ ব্যবসার বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ হবে। বিনিয়োগকৃত অর্থ কর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে বৈধ হওয়ার সুযোগ গ্রহণ করার জন্য দেশের বিত্তশালী ব্যক্তিরা দারুণভাবে উৎসাহিত হবেন। নতুন বিনিয়োগের ফলে দেশের উৎপাদন বাড়বে, ডলারের মূল্য হ্রাস পাবে, আমদানি ও রপ্তানি বাড়বে এবং নিত্যপণ্যের মূল্য ক্রমশ কমে আসবে। এবং জনগণ হতাশামুক্ত হবে। ফলে সরকারের ওপর নাগরিকের প্রত্যাশা পূরণ হবে। তিনি আরও বলেন, কর আহরণ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বর্তমান কর সংগ্রহের পদ্ধতি ঢেলে সাজাতে হবে এবং দেশের প্রত্যেক উপজেলায় ‘কর অফিসার’ নিয়োগ দিয়ে সরকারের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বাড়াতে হবে।