ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে মৌলভীবাজারের দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন। আবার কেউ কেই ঝুঁকি নিয়ে পানির মধ্যে বাড়িতেই বসবাস করছেন। বন্যার চরম অবনতিতে খাদ্য সংকটে পড়েছেন স্থানীয়রা। কেউ কেউ ঘরে রান্না করতে পারছেন না। আবার অনেকেই সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বাজার করতে পারছেন না। বন্যার্তদের অভিযোগ সরকারিভাবে তাদের তেমন ত্রাণ দেয়া হচ্ছে না।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, জেলার মনু নদীর চাঁদনীঘাট ব্রিজে ১১১ সে.মি ও কুশিয়ারা নদীতে বিপদসীমার ১১ সে.মি উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে ধলাই নদীতে ১৩২ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মনুনদীর ৮টি ও ধলাই নদীর ৫টি জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় ২১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে ৪৭ টি, আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৭ হাজার ১৪৫ জন লোক ও মেডিক্যাল টিম রয়েছে ৬০টি। ৫১৬ মে. টন চাল ও নগদ ২০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছে।
এদিকে জেলা সদরের সাথে সিলেট, কুলাউড়া, রাজনগর, জুড়ী, বড়লেখা ও কমলগঞ্জ উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন হয়ে পড়েছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, মনু ও ধলাই নদীতে পানি কমেছে। নিচের দিকে পানি বাড়ছে। রাতে মনু নদীর উজানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি কমে গেলে পানি নেমে যাবে। এ ছাড়া যেসব স্থানে বাঁধ ভেঙেছে সেগুলোতে কাজ চলছে বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল