ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পেঁয়াজের বীজ না জালানোকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১২জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের হিরালদী ও সাওতিকান্দা গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, হিরালদী গ্রামের পেঁয়ারে বীজ ব্যবসায়ী সামচু দাই এ বছর বীজ ক্রয় করেন পাশের সাওতিকান্দা গ্রামের আওলাদ মাতুব্বর কাছ থেকে। এ বীজ না জালানোয় সামচু দাই আওলাদ মাতুব্বরের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। গতকাল বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে পাশের চান্দ্রা ইউনিয়নের মালিগ্রাম বাজারে সামচু দাই ও আওলাদ মাতুব্বরের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় আওলাদ মাতুব্বরকে সামচু দাইয়ের লোকজন মারপিট করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে দুই গ্রামের কয়েকশত লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। এ সময় কমপক্ষে ১২ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষে ৬ জনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। এর মধ্যে হিরালদী গ্রামের সামচু দাইয়ের ভাতিজা মো. শাকিল দাইয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় সংঘর্ষে আহত সামচু দাইয়ের পক্ষের হিরালদী গ্রামের মনির দাই (৪৮), হান্নান দাই (৩০), জনি দাই (৩৩) ও আওলাদ মাতুব্বরের পক্ষের সাউতিকান্দা গ্রামের মো. সাজ্জাদ হাওলাদার (২৮), সরোয়ার মুন্সী (৫৫) কে। শাকিল দাইয়ের একাধিক দাঁত ভেঙ্গে গিয়েছে।
ঘারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মুনসুর মুন্সী বলেন, শুনেছি পেঁয়াজের বীজ বিক্রি নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে আমার ইউনিয়নের হিরালদী ও সাউতিকান্দা গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
ভাঙ্গা থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক অমিয় মজুমদার বলেন, সংঘর্ষের কোন খবর আমরা পাইনি।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ