রংপুরে তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানি ৪৯ সেন্টিমিটার কমেছে। এতে করে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপচর থেকে পানি সরে যেতে শুরু করেছে। তবে এখনও কিছু এলাকার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। সাময়িক বন্যায় তিস্তাপাড়ে আবাদ করা ধান ক্ষেত, মরিচ ও বাদামের ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। তবে ভাঙন আতঙ্ক রয়েছেন নদী পাড়ের মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকেল থেকে তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করে। সোমবার সকাল ৬টায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে পানি কমতে থাকে। বিকেল ৩টায় এ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগে কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
গঙ্গাচড়া উপজেলার লহ্মীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, আমার ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী শংকরদহ, পশ্চিম ইচলী, বাগেরহাট, জয়রামওঝা গ্রাম থেকে পানি সরে যেতে শুরু করেছে। তবে অনেক ফসলী জমি এখনও পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এখানে ত্রাণের চেয়ে নদী শাসন অনেক জরুরি। প্রতি বছর দশবারেরও অধিক তিস্তাপাড়ের মানুষকে উজানের পানিতে সৃষ্ট বন্যা মোকাবেলা করতে হয়।
কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম বলেন, বন্যার পানি কমে যেতে শুরু করেছে। দু’একদিনের মধ্যে ক্ষয়-ক্ষতি বোঝা যাবে। কৃষকরা চরে আবাদ করা আমন ধান দিয়েই সারাবছর চলতো। তাদের ধান ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। তাদের খাদ্যের পাশাপাশি আগামী শুষ্ক মৌসুমের জন্য সার, বীজসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ সহায়তা হিসেবে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানাব।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানে বৃষ্টিপাত নেই। ফলে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত কমছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত