কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রসহ ১৭৮ জনকে আসামি করে চকরিয়া থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। কাকারা ইউনিয়নে বিএনপির মিছিলে গুলি করে মো. মিজানুর রহমান নামে এক কিশোরকে হত্যা মামলায় তাদের আসামি করা হয়।
শনিবার সকালে মিজানুর রহমানের বাবা মোহাম্মদ শাহ আলম বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১২৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১৩ সালের ২৫ অক্টোবর বিকাল ৩টার দিকে চকরিয়া পৌরশহরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দিতে কাকারা ও সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের নেতাকর্মী ও জনসাধারণ চকরিয়া পৌরশহরের দিকে রওনা দেয়।
ওই মিছিল কাকারা ইউনিয়নের পুলেরছড়া এলাকায় পৌঁছালে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে রাইফেল ও বন্দুক নিয়ে গুলি করতে থাকে। এসময় মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ছোটাছুটি করতে থাকে। একপর্যায়ে ১ নম্বর আসামির হাতে থাকা রাইফেল দিয়ে মিজানুর রহমানকে পেছনের দিকে গুলি করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় আরও ১৯ জন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। এ ছাড়া ২ নম্বর আসামির হাতে থাকা রাইফেল দ্বারা সোনা মিয়া নামে এক বিএনপি কর্মীর পায়ে গুলি লাগে।
এদিকে, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনামুল হকের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করেন তারা। এতে তার বাড়ির দরজা-জানালার কাঁচ ও দেয়ালের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
স্থানীয় লোকজন মিজানুর রহমানসহ আহতদের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে মিজানুর রহমান মারা যায়। ঘটনাটি থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে পুলিশ মিজানুর রহমানের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্ত করে।
ওইসময় ছেলে হত্যার ঘটনায় থানায় একটি এজাহার দায়ের করলে থানা কর্তৃপক্ষ এজাহারটি মামলা হিসেবে এন্ট্রি করতে অপারগতা প্রকাশ করেন বলে বাদী এজাহারে দাবি করেন। আসামিরা তৎকালীন সরকারের প্রভাব দেখিয়ে বাদীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় এ মামলা দায়ের করতে বিলম্ব হয় বলে বাদী উল্লেখ করেন।
চকরিয়া থানার ওসি মঞ্জুর কাদের ভুইয়া বলেন, বিগত ২০১৩ সালে মিজানুর রহমান হত্যার ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এটি মামলা হিসেবে এন্ট্রি করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই