মধ্যপ্রাচ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার জেরে জ্বালানি তেলের বাজারে সরবরাহ উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এতে এক সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছে ৯ শতাংশের উপরে।
বাজারসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং ইকোনমিকস জানায়, গত এক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ডব্লিউটিআই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৯.০৯ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল হয় ৭৪.৩৮ মার্কিন ডলার। এর পাশাপাশি লন্ডনের বাজারে ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দামও এক সপ্তাহে ৯.১০ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল হয় ৭৮.০৫ ডলার।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, লেবাননে ইসরায়েলের হামলা এবং তার জেরে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরানের মিসাইল হামলা চালানোর পর থেকে এই যুদ্ধ পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় তেলের দাম বাড়ছে। তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেকের অন্যতম সদস্য দেশ ইরান। ফলে এই দেশটি যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়লে জ্বালানি তেল সরবরাহ বিঘ্নিত হতে পারে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ভোরে লেবাননের বৈরুত শহরের বাচুরা এলাকায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে দুজন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
গত মঙ্গলবার ইসরায়েল-লেবাননের সংঘাতে ইরানও জড়িয়ে পড়ে। সেদিন রাতে তারা ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ১৮০টি উচ্চগতির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এর মধ্য দিয়ে এই সংঘাত ইসরায়েল ও লেবাননের বাইরে অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের মজুদ ৩.৯ মিলিয়ন বা ৩৯ লাখ ব্যারেল বৃদ্ধি পেয়ে ৪১৭ মিলিয়ন বা ৪১ কোটি ৭০ লাখ ব্যারেলে উন্নীত হয়েছে, যদিও গত সপ্তাহে রয়টার্সের এক জরিপে বাজার বিশ্লেষকরা ধারণা করেছিলেন, উল্টো যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের মজুদ ১৩ লাখ ব্যারেল কমবে।
ইসরায়েল ইরানের তেলখনিতে হামলা চালালে বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ কমবে, যদিও রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, ওপেকের হাতে এখন বাড়তি তেল আছে।
তবে ইরান ইসরায়েলের তেল পরিশোধনাগারে হামলা চালালে সরবরাহে টান পড়তে পারে—এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ রয়েছে।
সূত্র : ট্রেডিং ইকোনমিকস, রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ