মাতাল অবস্থায় দুই ব্যক্তিকে হত্যাকারী মহিলা এমপি পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনির তিন বন্ধুকে খুঁজছে গোয়েন্দারা।
তাদের মধ্যে দুজন হলেন, যুবলীগের টাইগার কামাল ও জাহাঙ্গীর। গত ১৩ এপ্রিল মধ্য রাতে মাতাল অবস্থায় রনি এলোপাতাড়ি গুলি চালানোর সময় ওই গাড়ির আরোহী ছিলেন তারা। অন্যদিকে, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে রিমান্ডে থাকা রনিকে নিয়ে ব্যাপক অস্বস্তিতে রয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। তবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হয়েছেন রনি। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই রাতে গুলি চালানোর কথাটি স্বীকার করেছেন মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত আসনের এমপির ছেলে রনি। পাঁচ দিনের রিমান্ডের তিন দিন পার হলেও রনিকে নিয়ে ব্যাপক অস্বস্তিতে রয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। অতিমাত্রায় মাদকাসক্ত রনি কিছুক্ষণ পরপরই নেশাজাতীয় দ্রব্য চাইছেন তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে। এর বাইরে রনির জন্য একের পর এক তদবিরে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন তারা। সূত্র আরও জানায়, ১৩ এপ্রিল রাত ১০টা থেকে বাংলামোটর এলাকার শ্যালে বার থেকে মদপান করে পাঁচ তারকা হোটেল সোনারগাঁওয়ে যান রনি। মধ্য রাত পর্যন্ত সেখানেও টাইগার কামাল, জাহাঙ্গীর এবং অপর এক ব্যবসায়ীকে নিয়ে মদপান করেন এমপিপুত্র। পরে মগবাজার দিলু রোডে ব্যবসায়িক বন্ধুকে নামিয়ে ফিরছিলেন তিনি। ২০১০ সালে লাইসেন্স নেওয়া পিস্তলটি এ সময় রনির সঙ্গে ছিল। নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের কারণে বাংলামোটর থেকে মগবাজার মোড় পর্যন্ত রাস্তাটিতে মধ্য রাত পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকে। ওই রাতে কেবল জনকণ্ঠ ভবনের পাশের রাস্তাটি খোলা ছিল। রনির গুলিতে প্রথমে রিকশাচালক আবদুল হাকিম এবং পরে দৈনিক জনকণ্ঠের পরিবহন পুলের সিএনজি চালক ইয়াকুব আলীর মৃত্যু হয়। এরই মধ্যে রনির গাড়িচালক ইমরান ফকির গুলি চালানোর কথা জানিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এদিকে, নিহতদের পরিবারের তরফ থেকে হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির পাশাপাশি উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে। নিহত হাকিমের স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, আমরা কোনো দিন কল্পনাও করতে পারিনি এমপির ছেলেকে পুলিশ ধরবে। তবে এখনো আমরা নিশ্চিত হতে পারছি না তার বিচার হবে কিনা। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, হের রোজগারেই আমাদের সংসার চলত। হে মারা যাওয়ার পর থাইক্যা অনেক কষ্টে আমাদের দিন কাটছে। প্রায় দিনই আমাদের তিন বেলা খাবার জুটে না। মামলার তত্ত্বাবধানকারী ঢাকা মহানগর পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে বলেন, এমপিপুত্র হলেও রনি ছাড় পায়নি। তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। সে রিমান্ডে রয়েছে। অপরাধীর বিচার নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা করব। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই।
প্রসঙ্গত: তদন্তের ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা পুলিশ গত ৩১ মে গ্রেফতার করে রনি ও তার গাড়ি চালক ইমরান ফকিরকে। জব্দ করা হয় তাদের ব্যবহৃত প্রাডো গাড়ি ও রনির বৈধ পিস্তলটি। পিস্তলটির ব্যালাস্টিক পরীক্ষার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) পাঠানো হয়েছে। তবে গতকাল পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।
শিরোনাম
- ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীদের অপেক্ষায় শালবন বিহার
- পটুয়াখালীর ২৫ গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন
- তিন বছর পর ফিরলেন ওভারটন
- ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ইঙ্গিত ফ্রান্সের
- প্রকাশ্য বিবাদে জড়ালেন মাস্ক ও ট্রাম্প
- রাজশাহীতে পাঁচ পরিবারের ঈদুল আজহা উদযাপন
- গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত আরও ৭০
- আনচেলত্তির অভিষেক ম্যাচে হতাশার পারফরম্যান্স ব্রাজিলের
- বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নামার আগেই ইতালি শিবিরে বড় ধাক্কা
- নাটোরে ইউএনও'র গরু এলো সরকারি গাড়িতে, সমালোচনার ঝড়
- টুঙ্গিপাড়ায় নারীকে উত্ত্যক্ত করার জেরে সংঘর্ষ, আহত ২০
- পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হলো বগালেক, তিন্দু ও মিরিঞ্জা ভ্যালি
- লালমনিরহাটে ভিজিএফের ১৫৪৫ কেজি ঈদের চাল জব্দ
- নীলফামারীতে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বিজিবির সংবাদ সম্মেলন
- চট্টগ্রামে দুর্ঘটনা: নিয়ম না মেনে কালুরঘাট সেতুতে উঠেছিল ট্রেন, নিহত ৩
- চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে ঈদুল আজহা আজ
- আমাকে ছাড়া ট্রাম্প জিততেই পারতেন না: মাস্ক
- ‘আন্তরিকভাবে’ কালো মানিককে গ্রহণ করেছেন খালেদা জিয়া, চেয়েছেন দোয়া
- ৯ গোলের থ্রিলারে ফ্রান্সকে হারিয়ে নেশন্স লিগের ফাইনালে স্পেন
- হজের খুতবায় মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান
এমপিপুত্রের তদন্ত নিয়ে অস্বস্তিতে কর্মকর্তারা
সাখাওয়াত কাওসার
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর