বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা যেমন ভারতের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা করি, ভারতেরও উচিত আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা করা। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের মাজারে নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কী চাইত আর কী চাইত না, সেটা শেখ হাসিনা ধার ধারত না। মানুষের পিঠ তিনি এমনভাবে দেওয়ালে ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন যে, মানুষ জীবনের মায়া না করে তার পতনের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নেমেছিল। যেমনিভাবে ব্রিটিশদের তাড়িয়েছে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের তাড়িয়েছে, ঠিক তেমনি ৫ আগস্ট শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে।
তিনি বলেন, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে তাদের দেশের বিভিন্ন কমান্ডোদের বৈঠকের বিষয়টি উদ্বেগজনক নয়। তবে এটা উসকানি কিনা তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ভারত কি তাদের নববধূকে সান্ত¡না দেওয়ার জন্য, তার জমিদারি পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করছে। তাহলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এভাবে কথা বলছেন কেন?
ভারতের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ দেশ থেকে এক দানবকে তাড়িয়ে মুক্ত বাতাসে চলাফেরা করছে। আমি যে গ্রেপ্তার হতে পারি, গুম হতে পারি এই শঙ্কা আর নেই। এখন মানুষ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করছে, শান্তিতে ঘুমাতে পারছে। এটা কি আপনারা চাচ্ছেন না? বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক, মানুষ শান্তিতে থাকুক এটা কি ভারতের নীতি-নির্ধারকরা পছন্দ করেন না? নাকি এসব মেনে নিতে পারছেন না?
তিনি বলেন, আমরা যেমন ভারতের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা করি। ভারতেরও উচিত আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা করা।
ভারতের উদ্দেশে রিজভী আরও বলেন, কোনো দল বা ব্যক্তির প্রতি যদি আপনাদের যোগাযোগ থাকে তাহলে বাংলাদেশের মানুষ এটা ভালোভাবে মেনে নেবে না। বাংলাদেশের জনগণ যেমন দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন সহ্য করতে পারে তেমনি বিদেশি হানাদারদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ এবং তেজ দেখাতে জানে। বাংলাদেশ যে একটি বীরের জাতি এটা ভারতের মাথায় রাখতে হবে।