স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, মব জাস্টিসের (উচ্ছৃঙ্খল জনতার বিচার) ক্ষেত্রে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। একজন অন্যায় করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করুন। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। গতকাল সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদর দপ্তরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমও একটু আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারে। জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। ইনোসেন্ট (নির্দোষ) লোক যেন কোনো অবস্থায়ই হেনস্তা না হয়। পুলিশকে তার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস পুনরুদ্ধার করতে হবে। এজন্য মনমানসিকতা পরিবর্তন করে ভালো কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে পুলিশ জনবান্ধব।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের সেবা নিতে এসে যেন কেউ হয়রানির শিকার না হন, তা খেয়াল রাখতে হবে, কেননা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আপনারা চলেন। সাধারণ মানুষকে সম্মান করতে হবে। চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কাউকে গ্রেপ্তার করার সময় অবশ্যই নিজের পরিচয় দিতে হবে। কোনো অবৈধ আদেশ পালন করা যাবে না।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে যারা পেশাদারির সঙ্গে কাজ করেছেন তাদের কোনো সমস্যা হবে না। সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে পরিস্থিতি বিবেচনা করে। পুলিশ নিজেদের প্রস্তুত করে নেওয়ার পর সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফিরে যাবে। চাঁদাবাজি বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, চাঁদাবাজি বন্ধ হলে জিনিসপত্রের দাম সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। মতবিনিময় সভায় পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, একটি রক্তস্নাত অধ্যায়ের মাধ্যমে আমরা দ্বিতীয় বিজয় অর্জন করেছি। পুলিশের প্রতি যে জনপ্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, কাক্সিক্ষত সেবা দিতে না পারলে সে বিজয় নস্যাৎ হয়ে যাবে। আমাদের পূর্ণ উদ্যমে কাজ আরম্ভ করতে হবে। এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ডিএমপি সদর দপ্তরে পৌঁছালে একটি সুসজ্জিত দল তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। মতবিনিময় সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সব থানার ওসি উপস্থিত ছিলেন।