গাজা যুদ্ধের ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ফের জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। একের পর এক প্রস্তাব নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনা চলছে। তবে ১৫ সদস্যের এ পরিষদের প্রস্তাব পাস করতে হচ্ছে নানা চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে। প্রস্তাব পাসের জন্য ন্যূনতম ৯টি ভোটের প্রয়োজন হলেও বিভিন্ন সময় ভেটোর কারণে আটকে যাচ্ছে প্রস্তাবনা। জানা গেছে, ২০২৩-এর অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব পাস হলেও, অনেক প্রস্তাব ভেটোর মুখে বাতিল হয়েছে। বিশেষ করে চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো স্থায়ী সদস্যরা ভেটোর অধিকার প্রয়োগ করে প্রস্তাব আটকে দিয়েছে।
প্রস্তাবের ভাষা নিয়ে বিতর্ক : গাজা ইস্যুতে প্রস্তাবনায় ‘বিরতি’ শব্দটি নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে। কিছু দেশ ‘বিরতি’ নয়, ‘শত্রুতার অবসান’ শব্দ ব্যবহার করতে চায়। এ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পরও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি।
নতুন প্রক্রিয়ার পথে : প্রস্তাব পাস না হলে ২০২২ সালে চালু হওয়া নতুন একটি প্রক্রিয়া রয়েছে, যেখানে সদস্য রাষ্ট্রগুলো সাধারণ পরিষদের সভা ডেকে ভেটো নিয়ে আলোচনা করতে পারে। তবে এ প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনার কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
প্রস্তাব তৈরির প্রক্রিয়া : প্রাথমিক খসড়া তৈরির পর তা সংশোধন করে ‘শূন্য খসড়া’ আকারে বিতরণ করা হয়। এরপর সদস্য দেশগুলোর মতামত নিয়ে আবারও খসড়া সংশোধন করা হয়। এ প্রক্রিয়া ইমেইলসহ অন্যান্য উপায়ে সম্পন্ন হয়।
শেষ ধাপে ‘নীল’ খসড়া : খসড়া চূড়ান্ত হলে তা ‘নীল’ আকারে পরিষদের সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এটি একটি সংকেত যে, পরিষদ এখন ভোটের জন্য প্রস্তুত। খসড়া পাস হতে হলে ৯টি ভোট পেতে হবে এবং স্থায়ী সদস্যদের ভেটো এড়াতে হবে।
চূড়ান্ত রূপ ‘কালোতে’ : যদি প্রস্তাব পাস হয়, তা জাতিসংঘের ছয়টি সরকারি ভাষায় অনুবাদ করে ‘কালো’ রঙে প্রকাশ করা হয়। প্রত্যাখ্যাত বা গৃহীত সব খসড়া জাতিসংঘের ডকুমেন্ট সিস্টেমে রেকর্ড করা হয়।