শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
তবে তিনি মঞ্চে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উপস্থিত অনেক রাষ্ট্রপ্রধান এবং তাদের প্রতিনিধিরা ওয়াকআউট করেন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, প্রথমে তুরস্কের স্থায়ী দূত অধিবেশন কক্ষ থেকে বের হয়ে যান। এরপর একে একে তার পেছনে অন্যরাও বের হয়ে যেতে থাকেন।
এসময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলও সভাস্থল ত্যাগ করে। এরপর ইরান ও আরব অঞ্চলের কয়েকটি দেশ এবং আফ্রিকা অঞ্চলের কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা সভাস্থল ছেড়ে চলে যান।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত নেতানিয়াহুর ভাষণ প্রত্যাখ্যানে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি বলেছে, নেতানিয়াহু ৪১ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছেন। তার জাতিসংঘে ভাষণ নয়, কারাগারে থাকা উচিত।
সাধারণ পরিষধের সরাসরি প্রচারিত অনুষ্ঠানে দেখা গেছে, নেতানিয়াহু বক্তব্য শুরু করার পর অধিবেশন কক্ষের বেশিরভাগ আসনই খালি পড়ে আছে।
শুক্রবার নেতানিয়াহুর আগে দুই দেশের সরকার প্রধান ইসরায়েলকে তার কর্মকাণ্ড বন্ধের জন্য আহ্বান জানান।
স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট গোলব বলেছেন, নেতানিয়াহু, এখনই এই যুদ্ধ বন্ধ করুন।
এরপরেই ভাষণ দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
তিনি গাজায় ইসরায়েলি হামলা সম্পর্কে বলেছেন, এটি কেবল একটি সংঘাত নয়। এটি ফিলিস্তিনের নিরপরাধ মানুষকে নিয়মতান্ত্রিক হত্যা।
এদিকে, নেতানিয়াহু প্রায় আধা ঘণ্টার মতো কথা বলেন। ওই সময় তিনি হামাস ও হিজবুল্লাহর কড়া সমালোচনা করেন। নেতানিয়াহু বলেন, যতদিন পর্যন্ত তারা তাদের লক্ষ্য অর্জন না করবেন ততদিন যুদ্ধ অব্যাহত রাখবেন। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি, আল-জাজিরা, মিডল ইস্ট মনিটর
বিডি প্রতিদিন/একেএ