ইসরায়েলি হামলায় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ দিকের একটি শহরতলি এলাকায়। আর সেই গর্তের কাছেই একটি বাঙ্কারের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর মরদেহ। খবর রয়টার্স।
যদিও হিজবুল্লাহ এখনও এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি।
দু’টি সূত্রকে উদ্ধৃত করে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহ প্রধানের মরদেহে তেমন কোনও ক্ষতচিহ্নই ছিল না। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ইসরায়েলের রকেট হামলায় নিহত হননি নাসরাল্লাহ? ওই দুই সূত্রের দাবি, খুব সম্ভবত পার্শ্ববর্তী এলাকায় হামলার অভিঘাতে নাসরুল্লাহ মারা যেতে পারেন। তবে এই বিষয়েও হিজবুল্লাহ প্রকাশ্যে কিছু জানায়নি।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বৈরুতের দক্ষিণে মাটি থেকে ৬০ ফুট নীচে ছিল নাসরুল্লাহর বাঙ্কার। হিজবুল্লাহর গোপন এই ডেরায় অন্য শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে গোপন বৈঠকে বসেছিলেন নাসরুল্লাহ। সেই সময়েই বাঙ্কার লক্ষ্য করে ইসরায়েল আকাশপথে হামলা চালায়। এই অভিযানের নেপথ্যে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের বড় ভূমিকা ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। ফরাসি সংবাদপত্র ‘লে পারিসিয়েন’-এর একটি প্রতিবেদনে আবার দাবি করা হয়েছে, ইরানের এক গুপ্তচর নাসরুল্লাহর গোপন ডেরার কথা জানিয়ে দেন ইস রায়েলকে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল