আরজি কর ইস্যুতে কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি, নিহত চিকিৎসক ছাত্রীর সুবিচারসহ ১০ দফা দাবিতে যখন জুনিয়র ডাক্তাররা অনশন চালাচ্ছেন ঠিক সে সময় তৃণমূল সরকারের উপর চাপ বাড়ালো সিনিয়র ডাক্তাররা।
নিজেদের দাবি আদায় করতে গণইস্তফা দিলেন কলকাতার সরকারি আরজি কর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার। মঙ্গলবার সিনিয়র ডাক্তাররা যখন গণ ইস্তফা দিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরোচ্ছেন তখন সেই সিদ্ধান্তকে হাততালি দিয়ে অভিবাদন জানান জুনিয়র চিকিৎসকরা।
গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালেই কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হয়েছিল এক পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি ছাত্রীর। ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ উঠেছিল। আর এরপর থেকেই গত প্রায় দুই মাস ধরে আন্দোলন, প্রতিবাদ চালিয়ে আসছেন ডাক্তারা, ঘটনার প্রতিবাদে কর্মবিরতিও পালন করেছেন। ডাক্তারদের প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়ে পথে নেমেছে নাগরিক সমাজের একাংশ।
এরই মধ্যে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা ঘোষণা দেয় তাদের ১০ দফা দাবি মেনে না নিলে তারা অনশনে যাবেন। সেই মতো গত শনিবার থেকে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে অবস্থান অনশনে বসেন ৭ জুনিয়র ডাক্তার। এই কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজ্যের সমস্ত মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে ১২ ঘণ্টার জন্য অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের পাশাপাশি প্রতীকী অনশন পর্বও চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। জুনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি সিনিয়র ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও এই অনশনে যুক্ত হয়েছেন।
এমন এক প্রেক্ষিতে সিনিয়র ডাক্তারদের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। দাবি পূরণ না হলে আরজিকরের মতো কলকাতা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরাও ওই একই পথে হেঁটে গণইস্তফা দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তার কি প্রভাব পড়বে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। তবে যেভাবে নিজেদের দাবি-দাওয়া পূরণে চিকিৎসকরা পথে নেমেছেন তাতে বেশ অস্বস্তিতে মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল সরকার।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল