মহান আল্লাহ মদ, মৃত প্রাণী, রক্ত, প্রতিমা, শূকরের গোশত প্রভৃতি হারাম করেছেন। তিনি বলেন, ‘তোমাদের প্রতি মৃতপ্রাণী, রক্ত, শূকরের গোশত হারাম করা হয়েছে।’(সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৩)
অন্যত্র তিনি বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য নির্ধারক শরসমূহ শয়তানের অপবিত্র কার্য ছাড়া কিছুই নয়। অতএব এগুলো থেকে বিরত থাকো, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’
(সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৯০)
মহান আল্লাহ যেসব দ্রব্য হারাম করেছেন, সেসবের ব্যবসা করাও মুসলমানদের জন্য হারাম। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে মক্কা বিজয়ের বছর এবং মক্কায় থাকা অবস্থায় বলতে শুনেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর রাসুল মদ, মৃতদেহ, শূকর ও প্রতিমা বেচাকেনাকে হারাম করেছেন। তখন বলা হলো, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি কি মনে করেন যে লোকেরা মৃত পশুর চর্বি দ্বারা নৌকায় প্রলেপ দেয়, তা দিয়ে চামড়ায় বার্নিশ করে এবং লোকেরা তা চকচকে করার কাজে ব্যবহার করে? তখন তিনি বলেন, না, তা হারাম। অতঃপর তিনি বললেন, আল্লাহ ইহুদিদের নিশ্চিহ্ন করুন, কারণ মহান আল্লাহ তাদের জন্য চর্বি হারাম করেছেন অথচ তারা একে গলিয়ে নেয় এবং তা বিক্রি করে ও তার মূল্য ভক্ষণ করে।’ (বুখারি, হাদিস : ২২৩৬)
অন্যত্র রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ লানত বর্ষণ করেন মদের ওপর এবং যে তা পান করে, যে তা পরিবেশন করে, যে তা বিক্রি করে, যে তা ক্রয় করে, যে তার নির্যাস তৈরি করে, যার জন্য নির্যাস তৈরি করা হয়, যে তা বহন করে আর যার কাছে বহন করে নিয়ে যাওয়া হয় সবার ওপর।’
(আবু দাউদ, হাদিস : ৩৬৭৪)
পবিত্র কোরআনের আয়াত ও হাদিসের আলোকে জানা যায়, মহান আল্লাহ যেসব পণ্য মুসলমানদের জন্য হারাম করেছেন, তার ব্যবসা-বাণিজ্য করাও মুসলমানদের জন্য হারাম।
স্মরণ রাখতে হবে, যেসব হারাম পণ্যের ব্যবসা মুসলমানদের জন্য হারাম, তা অমুসলিমদের জন্য হারাম নয়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন