ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গত ১৭ জুলাই তারিখে ছিল তার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। কিন্তু দেশের পরিস্থিতির কারণে তখন পালন করা সম্ভব হয়নি।
আজ রবিবার তার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে যে কর্মসূচির পালন করা হচ্ছে তারমধ্যে প্রথম দিন বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন ও কুরআন তেলাওয়াত করে কবর জিয়ারত করা।আগামীকাল এমাজউদ্দীন আহমদ স্মরণে একটি আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে সংগঠনের পক্ষ থেকে।
এমাজউদ্দিন আহমেদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ রবিবার বিকাল ৪টায় মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে, কবর জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ ও ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এমাজউদ্দিন স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে এই আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ অলিদ বিন সিদ্দিক তালুকদারের নেতৃত্বে সংগঠনের পক্ষ থেকে এই আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন জোবায়ের বিন আতাউর, ইয়াসির আরাফাত, ইয়ামিন বাবু, ও ইকবাল হোসাইন, প্রমুখ। কুরআন তেলাওয়াত করে মোনাজাত করেন মাওলানা ইব্রাহিম খলিল।
এতে বক্তারা বলেন, অধ্যাপক ড, এমাজউদ্দীন আহমদের মতো আর সব শিক্ষক শিক্ষক নয় তার মত আর সব বুদ্ধিজীবী বুদ্ধিজীবী নয়। আকাল দিনের মধ্যে চলছে বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের পরিবর্তন ও পরিবেশ দেশের অবস্থা। এই সময়ে এমাজউদ্দীন আহমদের বড়ই প্রয়োজন ছিল দেশের ক্লান্তি লগ্নে।
মোহাম্মদ অলিদ তালুকদার বলেন, এমাজউদ্দীন আহমদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীর সময় দেশে চলছিল আন্দোলন সংগ্রাম। যে সংগ্রামের কথাগুলো আজ থেকে পাঁচ বছর আগেই এমাজউদ্দীন আহমদ বলে গেছেন। তিনি অসংখ্য সভা ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করে আলোচনায় দিকনির্দেশনামূলক তার বক্তব্যের মাধ্যমে কথাগুলো বলে গেছেন। তিনি আজ নেই। কিন্তু তার সেই সব কথাগুলো আজ অক্ষরে অক্ষরে প্রতিফলন ঘটেছে বাংলাদেশের মধ্যে।
মোহাম্মদ অলিদ তালুকদার বলেন, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও এমাজউদ্দীন আহমদ ও সিনিয়র সাংবাদিক মরহুম মাহফুজ উল্লাহ তাদের উভয়ের তৎকালীন সময়ের আন্দোলনের ফসল হিসেবে মনে করি।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত