রাজধানীর সচিবালয় এলাকায় আনসার সদস্যদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। রবিববার রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে সচিবালয়ের সামনে ঘটে এ ঘটনা।
এদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম নিজেদের ফেসবুক পোস্টে তাদের আটকে রাখার বিষয়ে জানালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমা হতে থাকে। পরে রাত ৯টার দিকে তারা সচিবালয়ের উদ্দেশে যাত্রা করে। এরপরই আনসার সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এদিকে এ ঘটনায় কড়া হুঁশিয়ার দিয়ে শিক্ষার্থীদের রাজপথ না ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। রবিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ফেসবুকে এক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি।
সারজিস আলম লিখেছেন, ‘এরা পুরনো শকুন। এটি তাদের বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ। তাদের সব পরিকল্পনা ছাত্র-জনতা ধুলোয় মিশিয়ে দেবে। আপনারা কেউ রাজপথ ছাড়বেন না। সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই নেমে আসুন। দেখি কত বড় কলিজা ওদের ...।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ সমন্বয়কের এই আহ্বান নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। সারজিস আলমের পোস্টে মন্তব্যের ঘরে সহমত পোষণ করে আনসার বাহিনী বিলুপ্তির দাবিও জানিয়েছেন অনেকে।
কেউ কেউ বলছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে কাজ করছে। এ অবস্থায় দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বন্যায় সবাই যখন বন্যার্তদের সহায়তায় কাজ করছেন, তখন আনসার বাহিনীর এমন দাবি কাম্য নয়।
প্রসঙ্গত, চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে রবিবার সকাল থেকে সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছিলেন আনসার সদস্যরা। একপর্যায়ে দুপুরে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারী আনসারদের একাংশ। তারা সচিবালয়ে তিন নম্বর গেট দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে ভেতরে ঢুকে পড়েন।
পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী তাদের প্রতিনিধিদের দাবি-দাওয়া মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। তবে এর কিছুক্ষণ পরই আবারও আন্দোলন শুরু করেন আনসার সদস্যরা। এ সময় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল