বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘জ্বালানি সংকটের কারণে গ্যাসের রিজার্ভ কমে আসছে। সে কারণেই ব্যয়বহুল তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করতে বাধ্য হচ্ছে সরকার।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে গভীর সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানে সাতটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘২০২৫ সাল পর্যন্ত ৫০টি গ্যাসকূপ খননের পরিকল্পনা আছে। এরমধ্যে ১৫টি গ্যাসকূপ খনন করে প্রতিদিন ১৭৬ মিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মিলেছে। তবে পাইপলাইন না থাকায় জাতীয় গ্রিডে এখন ৭৬ মিলিয়ন ঘনফুট দেয়া সম্ভব হচ্ছে।’
জ্বালানি উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘২০২৫ সালের মধ্যে আরও ৩৫টি কূপ খনন করা হবে। এছাড়া ২০২৮ সালের মধ্যে আরও ১০০টি কূপ খনন করা হবে। স্থলভাগের ৬৯টি কূপে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানো হবে। এর ফলে গ্যাস সংকট অনেকটাই কমে আসবে।’
বিডি-প্রতিদিন/শআ