বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, ধারাবাহিক অনেক ঘটনার মধ্য দিয়েই জুলাই বিপ্লবের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। এর অন্যতম নায়ক শহীদ আবরার ফাহাদ। গতকাল শহীদ আবরার ফাহাদের পঞ্চম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাবি শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাবি শাখা সভাপতি সাদিক কায়েম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলার ফলে শিবির ট্যাগ দিয়ে ফ্যাসিবাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ছাত্রলীগের রাতভর নির্যাতনে শহীদ হন আবরার ফাহাদ। দুঃশাসন, নির্যাতন, নিপীড়নের মাধ্যমে আমাদের এই জাতিকে নিঃশেষ করা হয়েছে। এর ফলেই আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী চেতনা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তারই বহিঃপ্রকাশ আজকের নতুন বাংলাদেশ। ঢাবি শিবির সভাপতি সাদিক কায়েম বলেন, আমাদের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক শহীদ আবরার ফাহাদ। আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে যারা হুমকি হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন, তারাই ফ্যাসিস্টের রক্তচক্ষুতে পরিণত হয়েছেন।
দেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবচ হিসেবে যাদেরই আবির্ভাব ঘটেছে, তাদেরকেই বরণ করতে হয়েছে মৃত্যুর মতো নির্মম পরিণতি। আবরার ফাহাদ হত্যার দায় কেবল ওই ঘাতক দলেরই না, এই দায় তাদেরও যারা ছাত্রশিবিরের সঙ্গে যুক্ত থাকলেই নিপীড়ন করাকে বৈধতা দিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের আগে বুয়েটে শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সিরাজুল ইসলামের ওপর নির্মম নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল। সেদিন কেউ প্রতিবাদ করেনি। এর ফলেই আবরার ফাহাদকে শিবির আখ্যা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার বৈধতা তৈরি হয়ে যায়। কাজেই যারা শিবিরের ওপর নিপীড়নের ব্যাপারে নীরব ছিল তারাও আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবির ঢাবি শাখার অফিস সম্পাদক ইমরান হোসাইন, ছাত্র আন্দোলন ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, স্কিল ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক আবদুল্লাহ আল আমীন প্রমুখ।
আলোচনা শেষে শহীদ আবরার ফাহাদসহ জুলাই বিপ্লবের সব শহীদ ও তাদের পরিবারের জন্য দোয়া-মোনাজাত করা হয়।