শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২১

দর্শন এবং বিজ্ঞানের মহানায়ক ওমর খৈয়াম

সাইফ ইমন
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
দর্শন এবং বিজ্ঞানের মহানায়ক ওমর খৈয়াম

পারস্যের খোরাসানের অন্যতম সেরা শিক্ষক হিসেবে বিবেচিত ইমাম মোয়াফেফক নিশাপুরীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন ওমর খৈয়াম। দিনের বেলায় জ্যামিতি ও বীজগণিত পড়ানো, সন্ধ্যায় মালিক শাহের দরবারে পরামর্শ প্রদান এবং রাতে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার পাশাপাশি জালালি বর্ষপঞ্জি সংশোধন- সবটাতেই তাঁর নিষ্ঠার কোনো কমতি ছিল না। জীবদ্দশায় ওমরের খ্যাতি ছিল গণিতবিদ হিসেবে। তিনি প্রথম উপবৃত্ত ও বৃত্তের ছেদকের সাহায্যে ত্রিঘাত সমীকরণের সমাধান করেন। ওমরের আরও একটি বড় অবদান হলো ইউক্লিডের সমান্তরাল স্বীকার্যের সমালোচনা,  যা পরবর্তী সময়ে অইউক্লিডীয় জ্যামিতির সূচনা করে। ১০৭০ খ্রিস্টাব্দে তাঁর পুস্তক মাকালাত ফি আল জার্ব আল মুকাবিলা প্রকাশিত হয়। ওমর খৈয়াম জ্যোতির্বিদ হিসেবেও সমধিক পরিচিত ছিলেন।  এই মনীষীকে নিয়ে আজকের রকমারি-

 

ফার্সি তথা বিশ্বসাহিত্যের মহান কবি

মুসলিমদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একজন হলেন ওমর খৈয়াম। একই সঙ্গে একজন দার্শনিক, কবি, গণিতজ্ঞ এবং জ্যোতির্বিদ। রসকষহীন গণিত নিয়ে তিনি  কাজ করেছেন। আবার তিনিই লিখেছেন মধুর সব কবিতা।

মুসলিম সভ্যতার ক্রমবিকাশে মুসলিম মনীষীদের অবদান অবিস্মরণীয়। যুগ যুগ ধরে গবেষণা ও সৃষ্টিশীল কাজে তাঁদের একাগ্রতা প্রমাণিত। বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের নিজস্ব ধ্যান-ধারণা সভ্যতার বিকাশকে করেছে আরও গতিশীল। রসায়ন, পদার্থ, জীববিজ্ঞান, কৃষি, চিকিৎসা, জ্যোতির্বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস- সর্বত্র ছিল তাদের অগ্রণী পদচারণা। বহু মুসলিম বিজ্ঞানী দিগন্ত উন্মোচনকারী আবিষ্কার করে গোটা বিশ্বের চেহারাই বদলে দিয়েছেন। সেসব আবিষ্কার ও গবেষণার আধুনিকীকরণ ঘটেছে, তার সুফল ভোগ করছে আজকের বিশ্ববাসী। দুনিয়া কাঁপানো মুসলিমদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একজন হলেন ওমর খৈয়াম। একই সঙ্গে একজন দার্শনিক, কবি, গণিতজ্ঞ এবং  জ্যোতির্বিদ। রসকষহীন গণিত নিয়ে তিনি কাজ করেছেন। আবার তিনিই লিখেছেন মধুর সব কবিতা। কখনো বর্ষপঞ্জিকা নিয়েও কাজ করেছেন। আবার কখনো চতুষ্পদী কবিতার অমর সংকলন ‘রুবাইয়াত’ রচনা করেছেন তিনিই। আধুনিক বীজগণিতের ভিত্তি তৈরি হয়েছে তাঁর হাতে, কাজ করেছেন ইউক্লিডীয় জ্যামিতি নিয়েও। ভূগোল, বলবিদ্যা, খনিজবিজ্ঞান, আইন, এমনকি সংগীতও বাদ যায়নি তার জ্ঞানপিপাসার তালিকা থেকে। জীবনের শেষ দিকে এসে হয়েছেন শিক্ষক; শিক্ষাদান করেছেন ইবনে সিনার দর্শন ও গণিত বিষয়ে। তিনি সত্যিই অসাধারণ, অতুলনীয়, অনুপম; তিনি ওমর খৈয়াম। ‘রুবাইয়াত-ই-ওমর খৈয়াম’ বইটি ১৯৫৯ সালে প্রকাশিত হয়। এর লেখক কাজী নজরুল ইসলাম। ওমর খৈয়ামের রুবাই বা কবিতা অবলম্বনে এই অনুবাদগ্রন্থ রচনা করেন কাজী নজরুল। সৈয়দ মুজতবা আলী এর ভূমিকা লেখেন। জীবনবাদী ওমর খৈয়াম নজরুলকে খুব আকর্ষিত করেছিলেন। এ অনুবাদে অত্যন্ত চমৎকার ভাষাভঙ্গি ব্যবহৃত হয়। অন্যান্য অনুবাদকারের চেয়ে নজরুলের অনুবাদ অনুভূতির পরশে, যথাযথ শব্দের পারিপাট্যে উজ্জ্বল থাকবে এটাই স্বাভাবিক। প্রখ্যাত আল কাতানজানি খৈয়ামের বিজ্ঞান সাধনার ফিরিস্তি দিয়ে একটি কিতাব রচনা করেছেন। তিনি মন্তব্য করেন, ওমর খৈয়ামের মতো একজন শ্রেষ্ঠ দার্শনিক ও বিজ্ঞানী শুধু পারস্যে নয়, সারা পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছেন কি না সন্দেহ আছে। তিনি বিশ্বের বিস্ময়। কালের নিরিখে সেকালের বিজ্ঞান গবেষণার মূল্যায়ন ছিল না। তা না হলে ওমর খৈয়ামই তাঁর মান-মন্দির থেকে প্রথম প্রমাণ করেছেন পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে। আকাশ, সূর্য, চন্দ্র, নক্ষত্রের অবস্থান সম্পর্কে এমন নিখুঁত হিসাব আর কেউ এর আগে দেয়নি। ওমর খৈয়াম চতুষ্পদী কবিতা লিখতেন। এসব কবিতা ‘রুবাইয়াত’ নামে খ্যাত। বিশ্বের মানুষ তাঁকে কবি হিসেবে চেনে ও জানে। তাঁর কবিতাগুলো তাঁর ইন্তেকালের ৭৩৪ বছর পর ১৮৫৭ সালে এডওয়ার্ড ফিজারেল্ড ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেন। এরপরই ওমর খৈয়ামের মনের খেয়ালের রচনাগুলো প্রকৃতির খেয়ালে বিশ্বের সাহিত্য অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত হয়। আর সেই সঙ্গে ওমর খৈয়ামকে অন্যতম সেরা কবির আসনে সমাসীন করে। ওমর খৈয়াম ছিলেন তাঁর সময়ের সেরা বিজ্ঞানী। তাঁর প্রিয় বিষয় ছিল জ্যোতির্বিজ্ঞান, বীজগণিত ও জ্যামিতি। দর্শন শাস্ত্রে তিনি ছিলেন মস্তবড় পণ্ডিত। আর ছিলেন পুরোপুরি অহংকারবিবর্জিত একজন। তিনি মানুষের কল্যাণের জন্য তাঁর জীবনের মূল্যবান সময় অতিবাহিত করেন। জ্ঞানচর্চার প্রতি তিনি এতই মনোযোগী ছিলেন যে, কোনো বই হাতে পেলেই তা তিনি পড়ে শেষ করতেন।

সুলতান জালাল উদ্দিন মালিক শাহের অনুরোধে তিনি রাজকীয় মান-মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যার মহাপরিচালক নিযুক্ত হন তিনি নিজেই।  এ সময় সুলতান তাঁকে একটি সঠিক সৌর বর্ষপঞ্জি তৈরির অনুরোধ জানান। ওমর খৈয়াম মাত্র কয়েকজন সহকর্মী বিজ্ঞানী নিয়ে অল্প দিনেই সাফল্যের সঙ্গে ও নিখুঁতভাবে একটি সৌর বর্ষপঞ্জি চালু করেছিলেন। এর নাম দেন আততারিখ আল জালালি অব্দ।

 

জন্ম ও বেড়ে ওঠা

ওমর খৈয়াম জন্মগ্রহণ করেছিলেন হিজরি পঞ্চম শতকের শেষের দিকে সেলজুক যুগে। তিনি ছিলেন মালিক শাহ সেলজুকের সমসাময়িক। অনেক ইতিহাসবিদের মতে, সুলতান মাহমুদের মৃত্যুর কিছু আগে ওমর খৈয়াম জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এখনকার ইরানের পুরনো নাম ছিল পারস্য আর তার রাজধানী ছিল খোরাসান। ইরানের নিশাপুর শহরে ওমরের জন্ম। তাঁর পিতা ছিলেন তাঁবুর কারিগর ও মৃৎশিল্পী। ছোটবেলায় তিনি বালি শহরে সে সময়কার বিখ্যাত পণ্ডিত শেখ মুহাম্মদ মানসুরীর তত্ত্বাবধানে শিক্ষালাভ করেন। ছোটবেলা থেকেই ওমর খৈয়াম খুবই মেধাবী ও বুদ্ধিমান ছিলেন। পড়াশোনার প্রতি গভীর মনোযোগ তাঁর অসামান্য সাফল্যের অন্যতম প্রধান কারণ। তাঁর স্মরণশক্তি ছিল খুবই প্রখর। যে কোনো দর্শনগ্রন্থ বা বিজ্ঞানের কঠিন ও জটিল গ্রন্থগুলো কয়েকবার পড়লেই তাঁর মুখস্থ হয়ে যেত। তাঁর পারিবারিক আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না।  জ্ঞানচর্চার জন্য আমির আবু তাহির তাঁকে কিছু আর্থিক সহায়তা করেন এবং রাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলে তাঁর জন্য অর্থের ব্যবস্থা করে দেন।

 

নজরুলের ওমর প্রেম

বাংলাদেশের জাতীয় কবি, বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম ওমর খৈয়ামকে অনেকটা গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। তবে কতটা ভিতর থেকে জেনেছেন সেটির প্রমাণ ‘রুবাইয়াৎ-ই-ওমর খৈয়াম’ এর ভূমিকা। কিন্তু ফার্সি ভাষার সঙ্গে কবি নজরুল অনেক আগে থেকেই পরিচিত ছিলেন। তাঁর চাচা কাজী বজলে করিম ছিলেন মস্তবড় ফার্সিবেত্তা। শিয়ারশোল রাজ হাইস্কুলে নজরুলের দ্বিতীয় ভাষা ছিল ফার্সি। ফলে কবি নজরুল মূল ফার্সি থেকে অনুবাদ করেছেন ওমর খৈয়ামের রুবাইয়াতগুলোও। নজরুল ওমর খৈয়াম সম্পর্কে লিখেছেন, ‘ওমরের কাব্যে শরাব-সাকির ছড়াছড়ি থাকলেও তিনি জীবনে ছিলেন আশ্চর্য রকমের সংযমী। তাঁর কবিতায় যেমন ভাবের প্রগাঢ়তা, অথচ সংযমের আঁটসাঁট বাঁধুনি, তাঁর জীবনও ছিল তেমন। তিনি মদ্যপ- লম্পটের জীবন (ইচ্ছা থাকলেও) যাপন করতে পারেননি। তাছাড়া ওভাবে জীবনযাপন করলে গোঁড়ার দল তা লিখে রাখতেও ভুলে যেতেন না। অথচ তাঁর সবচেয়ে বড় শত্রুও তা লিখে যাননি।’

 

জীবনের অজানা দিক

ওমর খৈয়ামের জীবনের অনেক দিকই আমাদের অজানা। তাঁর অনেক কাজও দুর্ভাগ্যজনকভাবে হারিয়ে গেছে কালের স্রোতে। তাঁর দাম্পত্য জীবন সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তাঁর বিয়ে নিয়ে অনেক মতবিরোধ রয়েছে। তবে ধারণা করা হয়, তিনি বিয়ে করেছিলেন এবং তাঁর একটি সন্তানও ছিল। তবে এই ধারণার সঙ্গে অনেকে দ্বিমত পোষণ করেছেন। আরেক সূত্র দাবি করে, তিনি কখনো বিয়ে করেননি। ১১৩১ সালের ৪ ডিসেম্বর ওমর খৈয়াম তাঁর জন্মস্থান নিশাপুরে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি মৃত্যুর আগে এমন একটি বাগানে তাঁর লাশ সমাহিত করার কথা বলে গিয়েছিলেন, যেখানে বছরে দুইবার ফুল ফোটে। সেখানেই তাঁকে সমাহিত করা হয়েছিল। দীর্ঘকাল তাঁর কবরের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ১৯৬৩ সালে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে তাঁর কবর খুঁজে পাওয়া যায় এবং তা নিশাপুরে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে সে স্থানটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। একটি সূত্র দাবি করে, মৃত্যুর আগে ওমর খৈয়াম তাঁর ছাত্রদের শেষবারের মতো বিশেষ উপদেশদানের জন্য আহ্বান জানান। এরপর তিনি ভালোভাবে ওজু করেন এবং এশার নামাজ আদায় করেন। সেজদারত অবস্থায়ই তিনি ইন্তেকাল করেন।

 

গণিত চর্চা ও জোতির্বিদ্যা

বীজগণিত দিয়েই নিজের গবেষণা জীবন শুরু করেছিলেন ওমর খৈয়াম। তিনিই অনুধাবন করেছিলেন, প্রচলিত গ্রিক পদ্ধতিতে ত্রিঘাত সমীকরণের সমাধান সম্ভব নয়। তাই নতুন পদ্ধতি নিয়ে ভাবতে শুরু করেন ওমর এবং খুব তাড়াতাড়ি সাফল্য এসে ধরাও দেয় তাঁর কাছে। ১০৭০ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সেই তিনি সমাধান করে ফেলেন ত্রিঘাত সমীকরণের। ওই বছরই ওমর খৈয়াম তাঁর জীবনের অন্যতম সেরা কাজ, ‘ডেমোনস্ট্রেশন অব প্রবলেমস অব অ্যালজেবরা অ্যান্ড ব্যালেন্সিং’ প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি বৃত্ত, প্যারাবোলার মতো কণিক ব্যবহার করাসহ ত্রিঘাত সমীকরণের একাধিক সমাধান পদ্ধতির উল্লেখ করেন। তাঁর আরেকটি বিখ্যাত রচনা ‘ট্রিটিজ অন ডেমোনস্ট্রেশন অব প্রবলেমস অব অ্যালজেবরা অ্যান্ড ব্যালেন্সিং’। এখানে তিনি সম্পূর্ণ বীজগাণিতিক উপায়ে ত্রিঘাত সমীকরণ সমাধান করেন। আর এই কাজই তাঁর সময়ের প্রথম সারির গণিতবিদ হিসেবে তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করে। এনে দেয় খ্যাতি। খৈয়াম যে পঞ্জিকা তৈরি করেছিলেন তা ছিল সুলতান মালিক শাহ কর্তৃক আদেশপ্রাপ্ত। সুলতান মালিক শাহ ছিলেন দূরদর্শী শাসক। রাজকার্যের সুবিধার জন্য প্রচলিত চন্দ্র পঞ্জিকার সীমাবদ্ধতার কথা মাথায় রেখে তিনি খৈয়ামকে একটি সৌরপঞ্জিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন। খৈয়ামসহ আরও আটজন বিশেষজ্ঞ মিলে ১০৭৫ সালে প্রথম পৃথিবীতে সৌরপঞ্জিকা প্রণয়ন করেন এবং মালিক শাহের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় আততারিখ আল জালালি অব্দ, তারিখ জালালি বা ‘যি যি মালিক শাহী’। রোমান ইতিহাসেও এ পঞ্জিকাকে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের সমকক্ষ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। গ্রেগরিয়ান পঞ্জিকার সূচনা খৈয়াম প্রণিত পঞ্জিকার অনেক পরে খৈয়াম পঞ্জিকার আদলে হয়েছিল। গ্রেগরিয়ান পঞ্জিকা বর্তমানে সারা পৃথিবীর জন্য গ্রাহ্য পঞ্জিকা হলেও প্রথমে তা ছিল খ্রিস্টীয় সাল গণনার একটি ধর্মীয় পঞ্জিকা। 

 

কবির কালজয়ী রচনা রুবাই

প্রতিটি রুবাইতে একটি মাত্র ভাবকে অবলম্বন করে প্রকাশ করা হয় দ্রোহ, প্রেম, আনন্দ, বিষাদ। মার্কিন কবি জেমস রাসেল লোয়েল ওমর খৈয়ামের রুবাই বা চতুষ্পদী কবিতাগুলোকে চিন্তা-উদ্দীপক পারস্য উপসাগরের মণিমুক্তা বলে অভিহিত করেছেন

ফার্সি সাহিত্যের কাব্যকে প্রধানত ভাগ করা যায় চার শ্রেণিতে- কাসিদা (রঙ্গ বা ব্যঙ্গ কাব্য), গজল (প্রেমগীতি), মথনবী বা মসনবী (দীর্ঘ কাব্যগাথা) এবং রুবাই। রুবাই একবচন। বহুবচনে রুবাইয়াত। রুবাই হচ্ছে চতুষ্পদী কবিতা, চার চরণে সীমাবদ্ধ। প্রতিটি রুবাইতে একটি মাত্র ভাবকে অবলম্বন করে প্রকাশ করা হয় দ্রোহ, প্রেম, আনন্দ, বিষাদ। মার্কিন কবি জেমস রাসেল লোয়েল ওমর খৈয়ামের রুবাই বা চতুষ্পদী কবিতাগুলোকে চিন্তা-উদ্দীপক পারস্য উপসাগরের মণিমুক্তা বলে অভিহিত করেছেন। ওমর খৈয়ামের রুবাই বা চার পঙ্ক্তির কবিতাগুলো প্রথমবারের মতো ইংরেজিতে অনূদিত হয় ১৮৫৯ সালে। এডওয়ার্ড ফিটজেরাল্ডের এই অনুবাদের সুবাদেই ওমর খৈয়াম বিশ্বব্যাপী কবি হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেন। এ অনুবাদের মাধ্যমে ফিটজেরাল্ড নিজেও খ্যাতিমান হয়েছেন। তাঁর অনুবাদ বইটি ১০ বারেরও বেশি এডিশন বের হয়েছে। ওমর খৈয়াম সম্পর্কে এবং তাঁর লেখাগুলো নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার প্রবন্ধ ও বই লিখিত হয়েছে এবং হচ্ছে। ফার্সি কাব্যজগতে ওমর খৈয়াম এক বিশেষ চিন্তাধারা ও বিশ্বদৃষ্টির পথিকৃৎ। তিনি এমন সব চিন্তাবিদ ও নীরব কবিদের মনের কথা বলেছেন, যারা সেসব বিষয়ে কথা বলতে চেয়েও প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে তা চেপে গেছেন। কেউ কেউ ওমর খৈয়ামের কবিতার নামে বা তাঁর কবিতার অনুবাদের নামে নিজেদের কথাই প্রচার করেছেন। আবার কেউ কেউ ওমর খৈয়ামের কবিতার মধ্যে নিজের অনুসন্ধিৎসু মনের জন্য সান্ত্বনা খুঁজে পেয়েছেন।

 

ছিল অতৃপ্তিও

প্রচলিত একটি কথা আছে, ‘যদি তুমি এক জীবনে হাজার জীবন বাঁচতে চাও, তাহলে পড়ো। আর এক জীবনে হাজার জীবন বাঁচতে চাও, তাহলে লেখো।’ কিন্তু ‘লেখা’মাত্রই সেই স্থায়িত্ব পায় না। তবে ওমন খৈয়াম জ্বলজ্বল করছেন মানুষের মনে। কারণ তিনি মানুষের মনে জীবনের বোধ তৈরি করে গেছেন। এত কিছুর পরেও তাঁর ভিতর ছিল অতৃপ্তি। ছিল অজানাকে জানার দুর্বার আকাক্সক্ষা। বিশেষ করে জ্যোতির্বিদ্যা ও গণিতের অনেক কঠিন রহস্য বা প্রশ্নের সমাধান দিয়ে গেলেও অনেক অজানা বা রহস্যময় বিষয়গুলোর সমাধান জানতে না পারায় আক্ষেপ করে গেছেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, জীবন এবং জগতের ও পারলৌকিক জীবনের রহস্য বা দর্শন সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন ওমর খৈয়াম।

এসব প্রশ্ন মানব সভ্যতার বিকাশে কিছু মৌলিক প্রশ্ন। এসব প্রশ্ন, এসব জিজ্ঞাসা যুগে যুগে জ্ঞান-তৃষ্ণার্ত বা অনুসন্ধানী মানুষের মনের প্রশান্ত সাগরেও তুলেছে অশান্ত ঝড়। দার্শনিকরা মূলত এ ধরনের প্রশ্ন উত্থাপন করে থাকেন। কারণ দর্শনের যুক্তি দিয়ে অনেক কিছু বোঝানো সম্ভব হলেও তারও একটা সীমাবদ্ধতা আছে। দর্শন বা বিজ্ঞান দিয়ে যে ভাব তুলে ধরা যায় না খৈয়াম তা কবিতার অবয়বে তুলে ধরতে চেয়েছেন। আর তাই যুক্তি ও আবেগের করুণ রসের প্রভাবে ওমর খৈয়ামের চার লাইন বিশিষ্ট কবিতাগুলো কবিতা জগতে হয়ে উঠেছে অনন্য। সমাজের পদে পদে তিনি আঙুল উঁচিয়ে দেখিয়ে গেছেন কীভাবে হাঁটতে হয় জ্ঞানের দরজা খুলে। তিনি অতৃপ্তি নিয়ে হেঁটেছেন জ্ঞানের সীমাহীন পথে।

 

ওমর খৈয়ামের বাণী

♦ এমন একটা দরজা যার কোনো চাবি খুঁজে পাইনি, কারণ এমন একটা পর্দা ছিল যার কারণে আমি দেখতে পাইনি।

♦ এক টুকরো রুটি, একটি শুরার পাত্র এবং তুমি।

♦ একটি চলমান আঙুল লিখছে এবং লেখাটা চলমান আছে। যার পুরোটাই তোমার বুদ্ধিমত্তা যেমন নয়, তেমনি পুরোটাই পবিত্র নয়; যে কোনো একটা বাদ দিতেই পার।   

♦ যখন আমি আজকের সম্পর্কে জানতে চাই অথবা আগামীকাল সম্পর্কে; আমি অতীতের দিকে ফিরে তাকাই।

♦ জ্ঞানের সুধা পান কর, তুমি কোথা থেকে এসেছ এবং কেন! পান কর জানার জন্য- তুমি কেন যাচ্ছ এবং কোথায়!  

♦ যে ফুলটি প্রস্ফুটিত হলো একসময় তাকে মরতেই হবে।

♦ সত্য ও মিথ্যার মধ্যবর্তী দূরত্ব হলো এক চুল পরিমাণ।

♦ মন্দির যদি মানুষের ভিতরেই থাকে, তাহলে পূজারিরা বাইরে মাথা ঝাঁকায় কেন?

♦ আস্তিনের ধুলা ঝাড়ো যত্ন নিয়ে, একদিন এই ধুলাই ছিল সুন্দর একটি মুখ।

♦ যদি শান্তি ও নির্মলতায় পৌঁছতে চাও তাহলে পুরো পৃথিবীর বেদনা ঝেড়ে ফেল।

♦ চলমান আঙুল লিখে চলে, লিখে চলে আদেশপত্র।

 

এই বিভাগের আরও খবর
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
সর্বশেষ খবর
দ্রুততম ১৩ হাজার রানের মালিক এখন জো রুট
দ্রুততম ১৩ হাজার রানের মালিক এখন জো রুট

১ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন আজ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন আজ

১ মিনিট আগে | জাতীয়

হায়দরাবাদের কাছে হেরে শীর্ষে ওঠা হলো না বেঙ্গালুরুর
হায়দরাবাদের কাছে হেরে শীর্ষে ওঠা হলো না বেঙ্গালুরুর

২৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

আমিরাতের বিপক্ষে লজ্জার হার; যা বললেন খালেদ
আমিরাতের বিপক্ষে লজ্জার হার; যা বললেন খালেদ

২৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

২৫ মে ঢাকায় সমাবেশের ডাক জুলাই ঐক্যের
২৫ মে ঢাকায় সমাবেশের ডাক জুলাই ঐক্যের

৩৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

সাভার উপজেলা মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি গ্রেফতার
সাভার উপজেলা মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি গ্রেফতার

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

১২ তলা থেকে পড়ে বেঁচে গেলেন তিনি
১২ তলা থেকে পড়ে বেঁচে গেলেন তিনি

৫৪ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

ভারতে তৈরি আইফোনে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের
ভারতে তৈরি আইফোনে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারি অফিস-ব্যাংক খোলা আজ
সরকারি অফিস-ব্যাংক খোলা আজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়ায় সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত; নিহত সবাই
রাশিয়ায় সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত; নিহত সবাই

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লাল গালিচায় নজর কাড়লেন আলিয়া ভাট
লাল গালিচায় নজর কাড়লেন আলিয়া ভাট

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৭৬ ফিলিস্তিনি, আহত দেড় শতাধিক
গাজায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৭৬ ফিলিস্তিনি, আহত দেড় শতাধিক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিডিয়া ট্রায়ালে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
মিডিয়া ট্রায়ালে ধ্বংস হচ্ছে দেশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা
ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফের ডাক মারলেন সাকিব
ফের ডাক মারলেন সাকিব

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দুপুরের মধ্যে ১১ অঞ্চলে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা
দুপুরের মধ্যে ১১ অঞ্চলে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রিশাদের ঝলকে পিএসএলের ফাইনালে লাহোর
রিশাদের ঝলকে পিএসএলের ফাইনালে লাহোর

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঈদুল আজহা : ট্রেনের ৩ জুনের টিকিট বিক্রি আজ
ঈদুল আজহা : ট্রেনের ৩ জুনের টিকিট বিক্রি আজ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দক্ষিণ সুদানে ফেব্রুয়ারি থেকে সংঘর্ষে অন্তত ৭৫ জন নিহত : জাতিসংঘ
দক্ষিণ সুদানে ফেব্রুয়ারি থেকে সংঘর্ষে অন্তত ৭৫ জন নিহত : জাতিসংঘ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি-জামায়াতকে বৈঠকের আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার
বিএনপি-জামায়াতকে বৈঠকের আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ সিরিজে প্রথম ম্যাচ খেলেই টেস্ট থেকে অবসর নেবেন ম্যাথুজ
বাংলাদেশ সিরিজে প্রথম ম্যাচ খেলেই টেস্ট থেকে অবসর নেবেন ম্যাথুজ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আঙুর ফল আর টক নয়
আঙুর ফল আর টক নয়

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

ঈদযাত্রা : ট্রেনের ৩ জুনের টিকিট বিক্রি আজ
ঈদযাত্রা : ট্রেনের ৩ জুনের টিকিট বিক্রি আজ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চুলের জন্য জরুরি ভিটামিন ও খনিজ
চুলের জন্য জরুরি ভিটামিন ও খনিজ

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

সেক্রেটারির সঙ্গে প্রেম, আশার সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে বড়বোন লতার
সেক্রেটারির সঙ্গে প্রেম, আশার সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে বড়বোন লতার

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রেগে পানের পাত্র ছুড়ে মারেন নৃত্যগুরু, পা কাটে রেখার
রেগে পানের পাত্র ছুড়ে মারেন নৃত্যগুরু, পা কাটে রেখার

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব পেতে রেকর্ড সংখ্যক আমেরিকানের আবেদন
যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব পেতে রেকর্ড সংখ্যক আমেরিকানের আবেদন

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাংবাদিকদের সামনে কংগ্রেসম্যানের ফোন, যা করলেন ট্রাম্প
সাংবাদিকদের সামনে কংগ্রেসম্যানের ফোন, যা করলেন ট্রাম্প

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জার্মানিতে রেলওয়ে স্টেশনে দুষ্কৃতকারীর ছুরিকাঘাতে আহত ১২
জার্মানিতে রেলওয়ে স্টেশনে দুষ্কৃতকারীর ছুরিকাঘাতে আহত ১২

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আদিবাসী গোষ্ঠীকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ, নিউইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে মামলা
আদিবাসী গোষ্ঠীকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ, নিউইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে মামলা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
গুজবে কান দেবেন না, বিভ্রান্ত হবেন না: সেনাবাহিনী
গুজবে কান দেবেন না, বিভ্রান্ত হবেন না: সেনাবাহিনী

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আপনি বাংলাদেশের ১৮ কোটির ইউনূস, আমরা পদত্যাগ চাই না : ফারুক
আপনি বাংলাদেশের ১৮ কোটির ইউনূস, আমরা পদত্যাগ চাই না : ফারুক

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আমেরিকা থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে গ্রেফতার আওয়ামী লীগ নেতা
আমেরিকা থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে গ্রেফতার আওয়ামী লীগ নেতা

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ড. ইউনূসের পদত্যাগ বিএনপির দাবি নয় : সালাহউদ্দিন
ড. ইউনূসের পদত্যাগ বিএনপির দাবি নয় : সালাহউদ্দিন

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অঘোষিত যুদ্ধের মুখে ব্যবসায়ীরা
অঘোষিত যুদ্ধের মুখে ব্যবসায়ীরা

৯ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

সশস্ত্র বাহিনীকে অন্ধকারে রাখা অনুচিত
সশস্ত্র বাহিনীকে অন্ধকারে রাখা অনুচিত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শনিবার সারাদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা
শনিবার সারাদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দিল্লি থেকে দেশকে বিভাজিত করার ছক কষা হচ্ছে : নাহিদ
দিল্লি থেকে দেশকে বিভাজিত করার ছক কষা হচ্ছে : নাহিদ

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফ্যাসিবাদের দোসরদের অপসারণ না করলে সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি
ফ্যাসিবাদের দোসরদের অপসারণ না করলে সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই নির্বাচন: পরিবেশ উপদেষ্টা
ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই নির্বাচন: পরিবেশ উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হামাসের পক্ষ নিয়েছেন: নেতানিয়াহু
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হামাসের পক্ষ নিয়েছেন: নেতানিয়াহু

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টানা বৃষ্টিতে বিপাকে হিন্দু যুগলের বিয়ের অনুষ্ঠান, পাশে দাঁড়াল মুসলিম পরিবার
টানা বৃষ্টিতে বিপাকে হিন্দু যুগলের বিয়ের অনুষ্ঠান, পাশে দাঁড়াল মুসলিম পরিবার

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক-এগারোর পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া ঠিক হবে না: ইকবাল করিম
এক-এগারোর পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া ঠিক হবে না: ইকবাল করিম

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার যুক্তরাষ্ট্রে কোভিডের ‘নতুন রূপ’ শনাক্ত
এবার যুক্তরাষ্ট্রে কোভিডের ‘নতুন রূপ’ শনাক্ত

১৩ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

আন্দামানের আকাশসীমা বন্ধ করে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা
আন্দামানের আকাশসীমা বন্ধ করে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১২ মিনিটে কোটি টাকার স্বর্ণসহ সিন্দুক নিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা
১২ মিনিটে কোটি টাকার স্বর্ণসহ সিন্দুক নিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে নুসরাত ফারিয়া
চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে নুসরাত ফারিয়া

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইসরায়েলে হুথির রকেট ও ড্রোন হামলা
ইসরায়েলে হুথির রকেট ও ড্রোন হামলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পদত‍্যাগ নয়, আলোচনার মাধ্যমে সকল পক্ষ সমাধানে আসুন : এবি পার্টি
পদত‍্যাগ নয়, আলোচনার মাধ্যমে সকল পক্ষ সমাধানে আসুন : এবি পার্টি

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এবার বেক্সিমকোর কায়দায় নাবিল গ্রুপের ব্যাংক লুট
এবার বেক্সিমকোর কায়দায় নাবিল গ্রুপের ব্যাংক লুট

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধজাহাজ উদ্বোধনের সময় দুর্ঘটনা: তদন্ত শুরু করেছে উত্তর কোরিয়া
যুদ্ধজাহাজ উদ্বোধনের সময় দুর্ঘটনা: তদন্ত শুরু করেছে উত্তর কোরিয়া

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘জনগণ দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর প্রধান উপদেষ্টার মর্যাদাপূর্ণ বিদায় চায়’
‘জনগণ দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর প্রধান উপদেষ্টার মর্যাদাপূর্ণ বিদায় চায়’

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের উৎসাহ দিলেন ডা. জুবাইদা রহমান
ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের উৎসাহ দিলেন ডা. জুবাইদা রহমান

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পার্লামেন্টে জুতায় বিয়ার ঢেলে পান করে রাজনীতিকে বিদায় জানালেন এমপি
পার্লামেন্টে জুতায় বিয়ার ঢেলে পান করে রাজনীতিকে বিদায় জানালেন এমপি

১৮ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

চার দাবিতে বায়তুল মোকাররম এলাকায় হেফাজতের বিক্ষোভ
চার দাবিতে বায়তুল মোকাররম এলাকায় হেফাজতের বিক্ষোভ

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে আরএনবি প্রত্যাহার, ট্রেনে নিরাপত্তা শঙ্কায় যাত্রীরা
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে আরএনবি প্রত্যাহার, ট্রেনে নিরাপত্তা শঙ্কায় যাত্রীরা

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি-জামায়াতকে বৈঠকের আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার
বিএনপি-জামায়াতকে বৈঠকের আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুন্সীগঞ্জে জোয়ারের তোড়ে ভেসে গেল শতাধিক গরু
মুন্সীগঞ্জে জোয়ারের তোড়ে ভেসে গেল শতাধিক গরু

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যে কারণে সিনেমা থেকে বাদ পড়লেন দীপিকা!
যে কারণে সিনেমা থেকে বাদ পড়লেন দীপিকা!

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গাজায় যা ঘটছে তা অযৌক্তিক-অগ্রহণযোগ্য: গ্রিক প্রধানমন্ত্রী
গাজায় যা ঘটছে তা অযৌক্তিক-অগ্রহণযোগ্য: গ্রিক প্রধানমন্ত্রী

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
আবারও ভরসার বাতিঘর জেনারেল ওয়াকার
আবারও ভরসার বাতিঘর জেনারেল ওয়াকার

প্রথম পৃষ্ঠা

লন্ডনে বসবাস করা শেখ রেহানার বাসা জব্দ!
লন্ডনে বসবাস করা শেখ রেহানার বাসা জব্দ!

প্রথম পৃষ্ঠা

কী হবে কালকের পর
কী হবে কালকের পর

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টার কালো কুর্তার রহস্য
প্রধান উপদেষ্টার কালো কুর্তার রহস্য

প্রথম পৃষ্ঠা

বাড়ছে রিজার্ভ, স্বস্তি ডলারের বাজারে
বাড়ছে রিজার্ভ, স্বস্তি ডলারের বাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

পরিত্যক্ত উত্তরের চার বিমানবন্দর
পরিত্যক্ত উত্তরের চার বিমানবন্দর

পেছনের পৃষ্ঠা

শুধু নির্বাচনের দায়িত্ব নিইনি
শুধু নির্বাচনের দায়িত্ব নিইনি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

শপথ কেবল একটা ফরমালিটি
শপথ কেবল একটা ফরমালিটি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতীয় কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করল বাংলাদেশ
ভারতীয় কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করল বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

এক-এগারোর পুনরাবৃত্তি ঠিক হবে না
এক-এগারোর পুনরাবৃত্তি ঠিক হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

বাগানে ঝুলছে ৫৭ জাতের আম
বাগানে ঝুলছে ৫৭ জাতের আম

পেছনের পৃষ্ঠা

মান-অভিমান ভুলে দায়িত্ব পালনের আহ্বান মামুনুলের
মান-অভিমান ভুলে দায়িত্ব পালনের আহ্বান মামুনুলের

প্রথম পৃষ্ঠা

সবজিতে স্বস্তি, মাংস মাছে হিমশিম
সবজিতে স্বস্তি, মাংস মাছে হিমশিম

পেছনের পৃষ্ঠা

৯০ দিনে নির্বাচন কেন নয়?
৯০ দিনে নির্বাচন কেন নয়?

প্রথম পৃষ্ঠা

গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ সেনাবাহিনীর
গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

খুদে বিজ্ঞানীদের উৎসাহ দিলেন জুবাইদা রহমান
খুদে বিজ্ঞানীদের উৎসাহ দিলেন জুবাইদা রহমান

প্রথম পৃষ্ঠা

শাকিলের সি টু সামিটের আদ্যোপান্ত
শাকিলের সি টু সামিটের আদ্যোপান্ত

শনিবারের সকাল

ব্ল্যাক ম্যাজিকের কবলে বলিউড তারকারা
ব্ল্যাক ম্যাজিকের কবলে বলিউড তারকারা

শোবিজ

ড. ইউনূসের পদত্যাগের দাবি বিএনপি করেনি
ড. ইউনূসের পদত্যাগের দাবি বিএনপি করেনি

প্রথম পৃষ্ঠা

টিকিয়ে রাখতে হবে অন্তর্বর্তী সরকার
টিকিয়ে রাখতে হবে অন্তর্বর্তী সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

বিলুপ্তির পথে ভদ্রা ভাদাই ও ভদ্রাবতী
বিলুপ্তির পথে ভদ্রা ভাদাই ও ভদ্রাবতী

পেছনের পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে প্রতিবেশীকে কুপিয়ে হত্যা
স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে প্রতিবেশীকে কুপিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

ইকোট্যুরিজমের সম্ভাবনা সুন্দরবনে
ইকোট্যুরিজমের সম্ভাবনা সুন্দরবনে

পেছনের পৃষ্ঠা

সোনালি যুগের চলচ্চিত্র পরিচালক - মতিন রহমান
সোনালি যুগের চলচ্চিত্র পরিচালক - মতিন রহমান

শোবিজ

দুই সিনেমা নিয়ে ফিরছেন বাঁধন
দুই সিনেমা নিয়ে ফিরছেন বাঁধন

শোবিজ

লিটনদের এবারের মিশন পাকিস্তান
লিটনদের এবারের মিশন পাকিস্তান

মাঠে ময়দানে

বাংলা সিনেমায় ব্যান্ড তারকাদের গান
বাংলা সিনেমায় ব্যান্ড তারকাদের গান

শোবিজ

মোহামেডানের নতুন জীবন
মোহামেডানের নতুন জীবন

মাঠে ময়দানে

১৩০০০ ক্লাবে জো রুট
১৩০০০ ক্লাবে জো রুট

মাঠে ময়দানে