শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১১ মার্চ, ২০২২

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের যত যুদ্ধ

সাইফ ইমন
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের যত যুদ্ধ

ইউক্রেনে সম্প্র্রতি সেনা অভিযান চালিয়েছে রাশিয়া। যার বিরোধিতা করছেন বিশ্ব নেতারা। ইতিহাস থেকে দেখা যায়, বিশ্বের নানা দেশেই এমন সেনা অভিযান পরিচালিত হয়েছে। কিছুদিন আগেই আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে মার্কিন সরকার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবীর ইতিহাসে ১৭টি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে।

আলোচিত ইরান-ইরাক যুদ্ধের সূচনা ১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বরে।  জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ১৯৮৮ সালের আগস্টে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে এর অবসান ঘটে।  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের কিছু যুদ্ধ নিয়েই আজকের রকমারি...

 

ইরাক-ইরান যুদ্ধ

ইরাক-ইরান যুদ্ধের সূচনা ১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বরে। জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ১৯৮৮ সালের আগস্টে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে এর অবসান ঘটে। ইরানের কাছে অন্যায়ভাবে চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ এবং পবিত্র প্রতিরোধ হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে ইরাকের সাদ্দাম হোসেন এ যুদ্ধকে ব্যাটল অব কাদেসিয়া নামে অভিহিত করতেন।

সীমান্ত বিরোধ এবং ইরাকের অভ্যন্তরে শিয়া জঙ্গিদের ইরানি মদদ দেওয়ার অভিযোগে ১৯৮০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ইরাকি বাহিনী পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই অবৈধভাবে ইরানি ভূখণ্ডে আক্রমণ এবং অনুপ্রবেশ চালায়। এরা আগে ঘটে যাওয়া ইরানি ইসলামী বিপ্লবের নাজুক অবস্থাকে ব্যবহার করে ইরাক যুদ্ধে দ্রুত অগ্রগতি অর্জনের চেষ্টা চালায়। কিন্তু কার্যত সে চেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। ১৯৮২ সালের জুনের মধ্যে ইরান তার হারানো সব ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করতে সমর্থ হয়। এর পরের ছয় বছর ইরানি বাহিনী যুদ্ধে অগ্রসর ভূমিকায় ছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কৌশলের সঙ্গে এ যুদ্ধের বেশ মিল খুঁজে পাওয়া যায়। পরিখা, কাঁটাতার, মানব স্রোত, বেয়োনেট চার্জ এ যুদ্ধে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। ইরাকি বাহিনী ইরানি সৈন্য, বেসামরিক নাগরিক এবং ইরাকি কুর্দিদের ওপর রাসায়নিক গ্যাস এবং মাস্টারড গ্যাস প্রয়োগ করে। সর্ব প্রথম ১৯৮০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ইরাকি বিমান বাহিনী ইরানের ১০টি বিমান বাহিনীর ঘাঁটির ওপর অতর্কিত পূর্ণমাত্রায় আক্রমণ চালায়। এদিকে ইরানের তেল সমৃদ্ধ খুজেস্তান প্রদেশ ইরাক দখল করে নেওয়ার মাধ্যমে ইরান চরমভাবে বিপর্যস্ত হবে এবং এই বিপর্যয় তেহরানের সরকারের পতন ত্বরান্বিত করবে, এমন ভাবনা থেকে সাদ্দাম হোসেন খুজেস্তানের ওপর পূর্ণমাত্রার অভিযান শুরু করে। ইরাকের আরও দুটি ডিভিশন মধ্যবর্তী ফ্রন্টে আক্রমণ পরিচালনা করে। ইরাকের অতর্কিত আক্রমণ ইরানের জন্য ছিল বিস্ময়কর। ফলে বিভিন্ন স্থানে ইরানের নিয়মিত সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনী পাসদারান প্রতিরোধ যুদ্ধের সূচনা করে। তবে, বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে শুরু হওয়া এই প্রতিরোধের মাঝে কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয় না থাকায় ইরাকি বাহিনীকে শুরুতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। জাতিসংঘের বারবার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ১৯৮৮ সালের আগস্ট পর্যন্ত যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হয়। ২০০৩ সালে দুই দেশের মধ্যে সর্বশেষ যুদ্ধবন্দি বিনিময় ঘটে। যুদ্ধে অনেক ইরানি বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারায়।

 

চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তুরস্কের মধ্যস্থতায় আলোচনা

ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়া। শুরুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে তাদের নিজস্ব সরকারকে উৎখাত করার আহ্বান জানিয়েছিল। পরে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করে তাদের সেনাবাহিনী কিয়েভের কাছে কিয়েভ হস্তোমেল বিমানঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। এরপরই কিয়েভের চারপাশ থেকে ঢোকা রুশ সৈন্যদের প্রতিহত করতে শহরে ঢুকে ইউক্রেনীয় সেনাদের সামরিক যান।

এদিকে যুদ্ধ শুরুর দুই সপ্তাহ পর তুরস্কের মধ্যস্থতায় আলোচনায় বসতে সম্মত হয় রাশিয়া ও ইউক্রেন। সংকট সমাধানের জন্য আলোচনায় বসতে তুরস্কে পৌঁছেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা। ইউক্রেনের একটি টেলিভিশন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে তুরস্কের আন্তালিয়ায় গতকাল এ বৈঠক হয়। তবে কোনো ধরনের বড় সমঝোতা ছাড়াই শান্তি আলোচনা শেষ হয়। এর মধ্য দিয়ে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দরজা খুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। অবশ্য সাময়িক যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গত বুধবার ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় মারিউপোল শহরে হাসপাতালে রাশিয়ার বোমা হামলা হয়েছে। রাজধানী কিয়েভের আশপাশে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। আগের দুই দিনও দুই পক্ষের লড়াইয়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। তুরস্ক ন্যাটোর সদস্য হলেও রাশিয়ার বিপক্ষে কোনো ব্যবস্থা নিতে রাজি হয়নি দেশটি। বেলারুশ সীমান্তে তৃতীয় দফায় বৈঠকে বসেও এখনো কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি রাশিয়া ও ইউক্রেন। অন্যদিকে রাশিয়ার সেনা কমান্ডার ও দেশটির বড় সরকারি কর্মকর্তাদের ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করার জন্য জবাবদিহিতার মুখোমুখি করা হবে- এমনটাই বলেছেন ব্রিটেনের সশস্ত্র বাহিনী বিষয়ক মন্ত্রী জেমস হিপ্পি। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাদের মনে রাখা প্রয়োজন কেবল রাশিয়ার শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তারাই নয়, তারাও আদেশ মানতে গিয়ে যুদ্ধাপরাধে জড়াচ্ছেন। তাদেরও জনগণ জবাবদিহিতার মুখোমুখি করবে।’

 

আমেরিকা-আফগানিস্তান যুদ্ধ

আফগানিস্তান অত্যন্ত দরিদ্র একটি দেশ। প্রথমে ব্রিটেনের ঔপনিবেশিক শক্তি, সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো পরাশক্তির সঙ্গে বরাবরই লড়াই করে গেছেন আফগানরা। বিশ্বের সব পরাশক্তির সঙ্গে তালেবান গোষ্ঠীর লড়াইয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি ধ্বংসপ্রায়। সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান কিংবা আলকায়েদা এবং ওসামা বিন লাদেন যদি মার্কিনিদের উদ্দেশ্য হয়, তবে দুটি লক্ষ্য অনেক বছর আগেই অর্জিত হয়েছে। গত বছর শেষে মার্কিন সেনারা ত্যাগ করে আফগানিস্তান। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আক্ষরিক অর্থেই আফগানিস্তানে পশ্চিমা পরাশক্তিঘেঁষা একটি শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চেয়েছিল; যা অনেকটা ঔপনিবেসিক আমলের মতো। কিন্তু সে উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ব্যর্থ হওয়ায় এবং আপাতত সে লক্ষ্য পূরণের ন্যূনতম সম্ভাবনা না থাকায় এক রকম হতাশা থেকেই যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ২০ বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটে। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তালেবান সরকারকে দায়ীদের তাদের হাতে তুলে দিতে বলেছিল। কিন্তু সেবারও তালেবান ওই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়। এর জবাব দিতে আফগানিস্তানে অভিযান শুরু করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনী।

 

ইরাক-কুয়েত যুদ্ধ

শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধে ইরাক পরাস্ত হয়েছিল। কুয়েত মুক্ত হয়েছিল ইরাকি দখলদারিত্ব থেকে

১৯৯০ সালের ২ আগস্ট স্থানীয় সময় রাত ২টার দিকে ইরাক তার তেলসমৃদ্ধ প্রতিবেশী দেশ কুয়েতে আক্রমণ করে। হঠাৎ এ হামলার ফলে কুয়েতের সেনাবাহিনী হতচকিত হয়ে যায়। ইরাকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন কুয়েতে হাজার হাজার সৈন্য পাঠিয়ে দেশটি দখল করে নিলেন। ঘটনার আকস্মিকতায় কুয়েতের মানুষ হতভম্ব। চারদিকে বিভ্রান্তি। ইরাক এবং কুয়েতের মধ্যে বহু বছর ধরে সীমান্ত নিয়ে বিরোধ চলছিল। দুটি দেশই তেল রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল। ইরাকের অভিযোগ ছিল, কুয়েত অতিরিক্ত তেল উৎপাদন করে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামে ধস নামাচ্ছে। হামলা শুরুর দুই দিনের মধ্যে কুয়েতি প্রতিরক্ষা বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং ইরাকি প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন কুয়েতকে ইরাকের ১৯তম প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করেন। এই আগ্রাসন স্থায়ী ছিল সাত মাস। দুই দেশের সম্পর্কে আরও সমস্যা তৈরি করেছিল ১৪০০ কোটি ডলারের এক ঋণ। ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের সময় ইরাক এই অর্থ ধার করেছিল কুয়েতের কাছ থেকে।  তখন কুয়েতের মোট জনসংখ্যা মাত্র ২১ লাখ। বেশির ভাগ বিদেশি সঙ্গে সঙ্গেই কুয়েত ছেড়ে চলে যান। আর কুয়েতের নাগরিকদেরও দুই-তৃতীয়াংশ দেশ ছেড়ে পালান। ইরাকের জাতিসংঘের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে কুয়েত থেকে তাদের সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। যার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে জাতিসংঘের সম্মিলিত সামরিক  জোট সামরিক হস্তক্ষেপ করে।

শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধে ইরাক পরাস্ত হয়েছিল। কুয়েত মুক্ত হয়েছিল ইরাকি দখলদারিত্ব থেকে। তবে কুয়েত যতদিন ইরাকের দখলে ছিল, তখন ১ হাজারের মতো কুয়েতে নাগরিক লড়াইয়ে নিহত হয়। ৬০০ জনের মতো গুম হয়। যুদ্ধে ইরাকেরও হাজার হাজার সৈন্য এই যুদ্ধে নিহত হয়।

 

সৌদি আরবের আগ্রাসন ইয়েমেনে

২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে সৌদি আরব ও কয়েকটি আরব দেশ ইয়েমেনের ওপর সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। এতে এ পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ নিহত ও কয়েক লাখ মানুষ আহত হয়েছে। এ ছাড়া, ঘর-বাড়ি, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ, খাদ্য তৈরির প্রতিষ্ঠানসহ অগণিত অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। দেশটিতে এখন মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ইয়েমেনের লড়াইয়ের শুরুটা হয় আরব বসন্ত দিয়ে, যার মাধ্যমে আসলে দেশটিতে স্থিতিশীলতা আসবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু ঘটেছে উল্টোটা। ২০১১ সালে দেশটির দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহকে তার ডেপুটি আবদারাবুহ মানসুর হাদির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য করে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হাদিকে অনেক সংকটের মুখোমুখি হতে হয়। ২০১৫ সালের শুরুর দিকে সানা দখল করে নেয় হুতিরা। ফলে ইয়েমেনে দুটি পক্ষ দাঁড়িয়ে যায়। একটি সরকার পক্ষ, আরেকটি হুতি বিদ্রোহীরা। আলী আবদুল্লাহ সালেহর সমর্থক সেনারাও হাত মিলিয়েছিল হুতিদের সঙ্গে। ২০১৫ সালের মার্চ মাসে সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনে বোমাবর্ষণ শুরু করে। আবদ রাব্বু মনসুর হাদির সমর্থনে এই বিমান হামলা শুরু হয়। ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট হাদি এই অভিযানে সমর্থন দেন।

 

ইতিহাসের কুখ্যাত ভিয়েতনাম যুদ্ধ

পৃথিবীর ইতিহাসে গণহত্যার জন্য সবচেয়ে কুখ্যাত যুদ্ধ হিসেবে গণ্য করা হয় ভিয়েতনাম যুদ্ধকে। এ যুদ্ধ এখনো মানুষকে আন্দোলিত করে, শিহরিত করে আর শান্তির পথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করে। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ও পরাশক্তি মানা হয় আমেরিকাকে। যুগ যুগ ধরে পৃথিবীর ভয়াবহতম যুদ্ধগুলোর সঙ্গে আমেরিকার কোনো না কোনো  যোগসাজশ ছিল। তবে তাদের সংশ্লিষ্টতায় অধিকাংশ যুদ্ধেই আমেরিকানরা জয়ের স্বাদ  পেয়েছিল। কিন্তু ভিয়েতনাম যুদ্ধ হচ্ছে প্রথম যুদ্ধ, যাতে আমেরিকা হেরে যায়। এ যুদ্ধকে ১৯৫৯ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সংঘটিত সবচেয়ে বড় সংঘাত হিসেবে মানা হয়। এই যুদ্ধের মূল কারণ ছিল আমেরিকানদের সাম্রাজ্যবাদ বিরোধিতা। অর্থাৎ সাম্যবাদী শাসন বা কমিউনিজম যেন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যেতে না পারে সে জন্যই আমেরিকা এই যুদ্ধে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। প্রাথমিকভাবে যুদ্ধের শুরুটা হয়েছিল দক্ষিণ ভিয়েতনাম আর উত্তর ভিয়েতনামের মধ্যে। মাঝখান থেকে আমেরিকা যুক্ত হলে যুদ্ধ তার গতিপথ পরিবর্তন করে এবং ভয়াবহ রূপ নেয়। আমেরিকা দক্ষিণ ভিয়েতনামের পক্ষে ১৯৬৫ সালে সেখানে সৈন্য পাঠায়, কিন্তু এর ফলে  যে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের সূত্রপাত হয়, তাতে শেষ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জয়ী হতে পারেনি।

 

২০১১ থেকে সিরিয়া যুদ্ধ

বর্তমানে সিরিয়া আর ইরাকের যুদ্ধ বহুল আলোচিত একটি বিষয়। ইসলামিক স্টেট  ঘোষণা করা সিরিয়ার তেলের যে ভাণ্ডার তার প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর লালায়িত চোখ বহু আগে থেকেই। বাশার সরকার পতনের লক্ষ্যে ২০১১ সালের জুলাইয়ে সামরিক বাহিনীর বিদ্রোহীদের ফ্রি সিরিয়ান আর্মি গঠনের মধ্য দিয়েই সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। এরপর সশস্ত্র সংঘাত ভয়ংকর রূপ নেয়। একই বছরের অক্টোবরে সরকারি সেনার ওপর ট্যাংক এবং হেলিকপ্টার সহযোগে প্রথম হামলা চালায় কোম শহর দখল করার জন্য। এরপর থেকে ফ্রি সিরিয়ান আর্মি দেশের অনেক অংশ দখল করে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বিদেশিদের নগ্ন হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। ২০১৫ সালে রাশিয়ার সরব উপস্থিতি। ইরান, ইরাক ও লেবাননের হিজবুল্লাহ বাশার আল-আসাদকে সমর্থন-সহযোগিতা করছে। অন্যদিকে তুরস্ক, কাতার এবং সৌদি আরব আসাদ বিরোধীদের সমর্থন ও সহযোগিতা করে আসছে। ২০১৬ সালে ইসলামিক স্টেট (আইএস) সিরিয়ায় পাকাপোক্তভাবে ঘাঁটি  গেড়ে বসে। এই যুদ্ধে তেলের যে বিরাট ভূমিকা আছে তা মোটামুটিভাবে সন্দেহাতীত। কথিত ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের আয়ের বড় উৎস তেল সম্পদ। তারা সিরিয়া তেল সমৃদ্ধ অঞ্চলের বেশিরভাগই নিয়ন্ত্রণ করে।

২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেট প্রতিদিন দুই মিলিয়ন ডলারের তেল বিক্রি করত বলে ধারণা করা হয়।

 

ফ্রান্স বধ হলেও মালির যুদ্ধ এখনো চলমান

২০১২ সালে, মালির জিহাদি সমস্যা মূলত দেশটির উত্তরের দিকেই সীমাবদ্ধ ছিল। মালির পাশেই রয়েছে সাহারা মরুভূমি, প্রতিবেশী হিসেবে সাহারা খুব সুখকর জায়গা নয়। লিবিয়ার নেতা গাদ্দাফির পতনের পর মালির সেনাবাহিনীর পক্ষে এই বিশাল মরু অঞ্চল এককভাবে পাহারা দেওয়া খুব কঠিন হয়ে উঠেছে, যাদের হাতে আবার পর্যাপ্ত অস্ত্রশস্ত্রও নেই। এর ফলে দেখা গেল, মালিতে সামরিক অভ্যুত্থান ও ক্ষমতাশূন্যতা সৃষ্টি হলো, যার মধ্যে তুয়ারেগ বিচ্ছিন্নতাবাদী এমএনএলএও তাদের জিহাদি সঙ্গীরা ঢুকে পড়ল। ফ্রান্সের সেই হস্তক্ষেপের আড়াই বছর পর মালি ও তার আন্তর্জাতিক সঙ্গীরা দেশটি পুনর্র্নিমাণে কাজ করছে। ফরাসি সেনাদের ওই এলাকার সিংহভাগ পুনর্দখল করতে মাত্র ২৩ দিন সময় লেগেছিল। এরপর দেশটিতে ২০১৩ সালে নির্বাচন হলো, তার মাধ্যমে ক্যারিশম্যাটিক ও বর্ষীয়ান রাজনীতিক ইব্রাহিম বুবাকার কেইতা আবারও ক্ষমতায় আসেন। ২০১৫ সালের গ্রীষ্মে বিদ্রোহী জোট ও সিএমএর মধ্যকার চুক্তির মাধ্যমে তার পরিসমাপ্তি হয়। কিন্তু মালির অবস্থা ইরাক ও আফগানিস্তানের মতো নয়, সেখানকার দ্বন্দ্ব পুরোপুরি শেষ হয়নি। দেশটির উত্তরে এখনো বিভিন্ন নামের সশস্ত্র গোষ্ঠী রয়েছে, একিউআইএম ছাড়াও জিহাদি আল-মুরাবিতুন ও আনসার দ্বীন সেখানে রয়েছে, আবার  সেখানে সরকারপন্থি জঙ্গি বাহিনীও রয়েছে। ফলে সেখানে জাতিসংঘের কাজও বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। মাঝেমধ্যে জিহাদিরা এসব হামলা চালালেও সব সময় যে তারাই এই হামলা চালায়, ব্যাপারটা সে রকম নয় যে জিহাদিদের সঙ্গে একিউআইএমের সম্পর্ক আছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এই যোদ্ধারা অনায়াসে এক গোষ্ঠী থেকে আরেক গোষ্ঠীতে চলে যাচ্ছে, তারা জিহাদি গোষ্ঠী থেকে ধর্মনিরপেক্ষ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীতে যাচ্ছে আবার ফেরতও আসছে,  তা সেসব গোষ্ঠীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য যা-ই হোক না কেন।

এই বিভাগের আরও খবর
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
সর্বশেষ খবর
বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে জাপানের বাণিজ্য-শিল্প প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে জাপানের বাণিজ্য-শিল্প প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক

এই মাত্র | বাণিজ্য

‘আরব আমিরাত নয়, পিএসএল হোক বাংলাদেশে’—বাসিত আলীর পরামর্শ
‘আরব আমিরাত নয়, পিএসএল হোক বাংলাদেশে’—বাসিত আলীর পরামর্শ

১১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

আওয়ামী লীগ দেশকে শ্মশানে পরিণত করেছিল: মঞ্জু
আওয়ামী লীগ দেশকে শ্মশানে পরিণত করেছিল: মঞ্জু

১৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অব্যাহতি
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অব্যাহতি

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নাটোরে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
নাটোরে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘দুর্নীতিমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম’
‘দুর্নীতিমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম’

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি
আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি

২২ মিনিট আগে | জাতীয়

সোনা মসজিদ সীমান্তে এক ভারতীয় নাগরিককে হস্তান্তর
সোনা মসজিদ সীমান্তে এক ভারতীয় নাগরিককে হস্তান্তর

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজারহাটে চর বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবিতে সংলাপ অনুষ্ঠিত
রাজারহাটে চর বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবিতে সংলাপ অনুষ্ঠিত

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ দুই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ দুই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

৩৯ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ট্রেনে কাটা পড়ে বাবার মৃত্যু, সন্তান আহত
ট্রেনে কাটা পড়ে বাবার মৃত্যু, সন্তান আহত

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুন্সিগঞ্জে লঞ্চে দুই তরুণীকে মারধরের ঘটনায় ২৫ জনকে আসামি করে মামলা
মুন্সিগঞ্জে লঞ্চে দুই তরুণীকে মারধরের ঘটনায় ২৫ জনকে আসামি করে মামলা

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পঞ্চগড়ে ধরা পড়লো আহত নীলগাই
পঞ্চগড়ে ধরা পড়লো আহত নীলগাই

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাচন
গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাচন

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাস্তা যেন ধান-খড় শুকানোর চাতাল!
রাস্তা যেন ধান-খড় শুকানোর চাতাল!

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় নানা আয়োজনে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত
কুয়াকাটায় নানা আয়োজনে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করায় হৃদরোগে মৃত্যু ঝুঁকি বাড়াচ্ছে
ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করায় হৃদরোগে মৃত্যু ঝুঁকি বাড়াচ্ছে

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে পঞ্চগড়ে জামায়াতের শোকরানা মিছিল
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে পঞ্চগড়ে জামায়াতের শোকরানা মিছিল

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভুটানকে হারিয়ে সাফের সেমিতে বাংলাদেশের যুবারা
ভুটানকে হারিয়ে সাফের সেমিতে বাংলাদেশের যুবারা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে তিন কৃষকের মৃত্যু
কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে তিন কৃষকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোসলে নেমে কিশোরের মৃত্যু
গোসলে নেমে কিশোরের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কলমাকান্দায় রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞাত ব্যক্তি উদ্ধার
কলমাকান্দায় রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞাত ব্যক্তি উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিল গেটসের ২০০ বিলিয়ন ডলার দানের ঘোষণায় যা বললেন সাবেক স্ত্রী
বিল গেটসের ২০০ বিলিয়ন ডলার দানের ঘোষণায় যা বললেন সাবেক স্ত্রী

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা ও গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ সংকট দূর করার আহ্বান
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা ও গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ সংকট দূর করার আহ্বান

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাছ থেকে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু
গাছ থেকে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ববিতে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা
উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ববিতে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ড্রেন নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্ত টিনসেট ভবন ধ্বসের শংকা
ড্রেন নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্ত টিনসেট ভবন ধ্বসের শংকা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কুমারখালীতে কিশোরের লাশ উদ্ধার
কুমারখালীতে কিশোরের লাশ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
সেনা ম্যাজিস্ট্রেসি বহালে কুচক্রের মাথায় বাজ
সেনা ম্যাজিস্ট্রেসি বহালে কুচক্রের মাথায় বাজ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২১ গুণ বেশি, দাবি রিপোর্টে
সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২১ গুণ বেশি, দাবি রিপোর্টে

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রামে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চট্টগ্রামে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে’
‘বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে’

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প : রিপোর্ট
নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প : রিপোর্ট

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে পাশে থাকার বার্তা চীনের
পাকিস্তানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে পাশে থাকার বার্তা চীনের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে আলোচনায় চীনা যুদ্ধবিমান
ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে আলোচনায় চীনা যুদ্ধবিমান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা
আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জরুরি বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ
জরুরি বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ
নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে প্রধান উপদেষ্টাকে বার বার পত্র দিয়েছে বিএনপি’
‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে প্রধান উপদেষ্টাকে বার বার পত্র দিয়েছে বিএনপি’

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী গ্রেফতার
সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী গ্রেফতার

২০ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল
নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঢাকা, জনজীবন দুর্বিষহ
বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঢাকা, জনজীবন দুর্বিষহ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতায় ভারত ‘অপ্রস্তুত, খানিকটা বিস্মিত’: ব্রিটিশ বিশ্লেষক
পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতায় ভারত ‘অপ্রস্তুত, খানিকটা বিস্মিত’: ব্রিটিশ বিশ্লেষক

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতির পরও শ্রীনগরে বিস্ফোরণ, পেশোয়ারে ড্রোন আতঙ্ক
যুদ্ধবিরতির পরও শ্রীনগরে বিস্ফোরণ, পেশোয়ারে ড্রোন আতঙ্ক

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে ছাত্র-জনতার উল্লাস
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে ছাত্র-জনতার উল্লাস

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এক যুগ পর স্বজনের বাসায় খালেদা জিয়া
এক যুগ পর স্বজনের বাসায় খালেদা জিয়া

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত নিয়ে অনড় ভারত
যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত নিয়ে অনড় ভারত

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
রাজধানীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গেজেট প্রকাশের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি
গেজেট প্রকাশের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি
জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাকে সাধুবাদ বিএনপির
আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাকে সাধুবাদ বিএনপির

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের ওপর আওয়ামীপন্থিদের হামলা, পুলিশসহ আহত ১৫
বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের ওপর আওয়ামীপন্থিদের হামলা, পুলিশসহ আহত ১৫

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম কেবল নিষিদ্ধ করে থেমে গেলে চলবে না : ইশরাক
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম কেবল নিষিদ্ধ করে থেমে গেলে চলবে না : ইশরাক

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দেশের জন্য যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত’
‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দেশের জন্য যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত’

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে বাংলাদেশি প্রবাসী সাংবাদিক ও সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্টদের ইউটিউব চ্যানেলও বন্ধ
ভারতে বাংলাদেশি প্রবাসী সাংবাদিক ও সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্টদের ইউটিউব চ্যানেলও বন্ধ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
নাটকীয় যুদ্ধবিরতি
নাটকীয় যুদ্ধবিরতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল
বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল

মাঠে ময়দানে

তদন্ত প্রতিবেদনের পর ব্যবস্থা
তদন্ত প্রতিবেদনের পর ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ বিশ্ব মা দিবস
আজ বিশ্ব মা দিবস

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

কোকোর কবর জিয়ারত করলেন জুবাইদা শামিলা
কোকোর কবর জিয়ারত করলেন জুবাইদা শামিলা

নগর জীবন

রিয়া গোপ স্টেডিয়ামের বেহাল দশা
রিয়া গোপ স্টেডিয়ামের বেহাল দশা

মাঠে ময়দানে

বিএনপির বৈঠকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গ
বিএনপির বৈঠকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গ

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

কেউ যেন ভোটের অধিকার কুক্ষিগত না করতে পারে
কেউ যেন ভোটের অধিকার কুক্ষিগত না করতে পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

কক্সবাজার থেকে ১৮ রুটে মাদক ঢল, কাল বৈঠক
কক্সবাজার থেকে ১৮ রুটে মাদক ঢল, কাল বৈঠক

পেছনের পৃষ্ঠা

দল নিষিদ্ধ সমস্যার সমাধান নয়
দল নিষিদ্ধ সমস্যার সমাধান নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলছে ৬০ জোড়া ট্রেন
শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলছে ৬০ জোড়া ট্রেন

পেছনের পৃষ্ঠা

সারা দেশে গ্রেপ্তার অভিযান
সারা দেশে গ্রেপ্তার অভিযান

নগর জীবন

বিউটি ক্যাপসিকামে ঝোঁক কৃষকের
বিউটি ক্যাপসিকামে ঝোঁক কৃষকের

পেছনের পৃষ্ঠা

অস্থিরতা থামছে না শেয়ারবাজারে
অস্থিরতা থামছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়

সম্পাদকীয়

মাকে নিয়ে সেরা যত চলচ্চিত্র
মাকে নিয়ে সেরা যত চলচ্চিত্র

শোবিজ

মোদি-শেহবাজকে প্রধান উপদেষ্টার সাধুবাদ
মোদি-শেহবাজকে প্রধান উপদেষ্টার সাধুবাদ

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধক্ষেত্র থেকে জন্মভূমিতে
যুদ্ধক্ষেত্র থেকে জন্মভূমিতে

মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রামের গল্পে জিৎ
চট্টগ্রামের গল্পে জিৎ

শোবিজ

সভাপতি সুমন, মহাসচিব টুটুল
সভাপতি সুমন, মহাসচিব টুটুল

শোবিজ

সহযোগিতার আশ্বাস জুলাই শহীদ পরিবারকে
সহযোগিতার আশ্বাস জুলাই শহীদ পরিবারকে

প্রথম পৃষ্ঠা

সংগীতমাঝির অন্যলোকে পাড়ি
সংগীতমাঝির অন্যলোকে পাড়ি

শোবিজ

বার্সা-রিয়াল লড়াইয়ে লা লিগার ভাগ্য
বার্সা-রিয়াল লড়াইয়ে লা লিগার ভাগ্য

মাঠে ময়দানে

ছাত্রলীগ নেতাসহ ২০ বাংলাদেশি আটক পশ্চিমবঙ্গে
ছাত্রলীগ নেতাসহ ২০ বাংলাদেশি আটক পশ্চিমবঙ্গে

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বৃত্তান্ত
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বৃত্তান্ত

রকমারি

এশিয়ার অর্থনীতিতে বিপর্যয় শঙ্কা
এশিয়ার অর্থনীতিতে বিপর্যয় শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা