৮ অক্টোবর, ২০২১ ১৭:০৯

লাল শাপলার বিল নজর কাড়ছে প্রকৃতিপ্রেমীদের

ফরিদপুর প্রতিনিধি

লাল শাপলার বিল নজর কাড়ছে প্রকৃতিপ্রেমীদের

নাম তার গাবুরদিয়া বিল। স্থানীয় অনেকের কাছে এটি ধোপাডাঙা বিল নামেও পরিচিত। এই বিলের চারিদিকে শুধু পানি আর পানি। আর সেই বিলের পানিতে ফুটে আছে হাজারো লাল রঙের শাপলা। আছে সাদা রঙের শাপলাও। বিশাল এ বিলটিতে লাল শাপলার কারণে গোটা এলাকাজুড়ে অন্যরকম এক দর্শনীয় স্থানে পরিনত হয়েছে। যা দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে ভিড় করছে হাজারো প্রকৃতিপ্রেমিক মানুষেরা।

গাবুরদিয়া বিলটির অবস্থান ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল কোড়কদি ইউনিয়নে। বর্তমানে বিলটি লাল শাপলার বিল হিসাবে পরিচিত। বর্তমানে বিলটিতে পানি কমতে শুরু করায় দর্শনার্থীরা ছোট ছোট ডিঙি নৌকা নিয়ে সেখানে ঘুরতে যান। দুপুরের পর থেকেই শুরু হয় দর্শনার্থীদের আনাগোনা। অনেকেই নৌকা নিয়ে বিলে বিচরণ করেন। কেউবা ছবি তুলে তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন ফেসবুক এ।

স্থানীয়রা জানান, বিশাল এলাকাজুড়ে গড়ে ওঠা বিলটির আকার প্রায় এক কিলোমিটার। বিলে লাল ও সাদা দুই ধরনের শাপলা রয়েছে। তবে লাল শাপলার সংখ্যাই বেশী। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় তিনমাস এ বিলে শাপলা ফোটে। শুকনো মৌসুমে এ বিলে বিভিন্ন ফসলের আবাদ হয়। বেশীর ভাগ সময়ই বিলটি পানিতে পরিপূর্ন থাকে। এসময় অনেকেই এ বিলটিতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক বছর ধরে এ বিলে লাল শাপলা ফুটতে দেখা যায়। অনেকেই তখন এ শাপলা তুলে বাজারে নিয়ে বিক্রি করতো। কিন্তু দিনকে দিন বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষজন লাল শাপলার বিল দেখতে ছুটে আসেন। ফলে গ্রামের লোকেরা সিদ্ধান্ত নেন তারা আর শাপলা তুলে বিক্রি করবেন না। এ বছর স্থানীয় কতিপয় যুবক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাল শাপলার বিলের ছবি দিলে অনেকেই সেখানে ছুটে যান। ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যেই লাল শাপলার বিলের খবর ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। প্রতিদিন এ বিলে ছুটে আসছেন অনেকেই। কেউ কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে আসছেন এ বিলে।

ফরিদপুর শহর থেকে ছুটে আসা আজিজুল, রহিম, তন্ময়সহ কয়েকজন জানালেন, তারা লাল শাপলা বিলের খবর শুনে এখানে দেখতে এসেছেন। এখানে এসে তারা বেশ খুশি। তারা জানান, প্রত্যন্ত এ গ্রামটিতে আসতে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রাস্তার অবস্থা বেশ নাজুক। তাদের দাবী, যদি স্থানীয়ভাবে এ বিলের বিষয়ে নজর দেওয়া হয় তাহলে এটি জেলার অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থানে পরিনত হতে পারে।

কোড়কদি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুকুল হোসেন জানান, অনেকেই এ বিলে ঘুরতে আসেন। বর্তমানে প্রতিদিনই লোকজন আসছে। এ বিলটি ইউনিয়নের পরিচিতি বাড়িয়ে দিয়েছে। বিলটিকে সৌন্দর্য প্রেমীদের দর্শনীয় স্থান হিসাবে গড়ে তোলার জন্য তারা চেষ্টা করবেন। এজন্য জেলা প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।   

বিডি প্রতিদিন/আল আমীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর