শিরোনাম
২০ নভেম্বর, ২০২১ ১০:১৪

সেন্টমার্টিন উপকূলে নতুন ১৮ প্রজাতির মৎস্য আবিষ্কার

গবেষকরা বলেন, টাইডপুলে বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, অমেরুদণ্ডী প্রাণী ও বেশ কিছু প্রাণের বাসস্থান

শনিবারের সকাল ডেস্ক

সেন্টমার্টিন উপকূলে নতুন ১৮ প্রজাতির মৎস্য আবিষ্কার

দেশে মাছের নতুন ১৮ প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে। দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চল সেন্টমার্টিন ও আশপাশ এলাকায় এসব প্রজাতির সন্ধান পেয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিন ধাপে গবেষণা চালিয়ে মাছের নতুন প্রজাতিগুলো শনাক্ত করা হয়। এ গবেষণার ফল আলাদা তিনটি আন্তর্জাতিক প্রকাশনা সংস্থার সাইটে প্রকাশিত হয়েছে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের পূর্ব এবং পশ্চিম উপকূলের পাথুরে সৈকতের টাইডপুলে, পশ্চিম সৈকতের অগভীর জলসীমা ও টেকনাফের সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান চালিয়ে এসব প্রজাতি খুঁজে পান গবেষকরা। এর মধ্যে সেন্টমার্টিনের টাইডপুলে ১১টি, টেকনাফে জালিয়াপাড়ায় একটি ও সেন্টমার্টিনের পশ্চিমের অগভীর জলসীমায় ছয়টি প্রজাতি পাওয়া যায়।

গবেষকরা বলেন, টাইডপুলে বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, অমেরুদণ্ডী প্রাণী ও বেশ কিছু প্রাণের বাসস্থান। কিছু মাছ সম্পূর্ণ জীবন টাইডপুলে অতিবাহিত করে। আবার কিছু মাছ জীবনচক্রের নির্দিষ্ট সময় সেখানে অতিবাহিত করে। আর কিছু মাছ খাবারের খোঁজে স্বল্প সময়ের জন্য টাইডপুলে আসে। টাইডপুল হচ্ছে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হওয়া অবনমিত স্থান, যা জোয়ার-ভাটার সীমারেখার মধ্যবর্তী জায়গায় দেখা যায়। টাইডপুল ভাটার সময়ে স্থায়ীভাবে পানি ধরে রাখে ও ছোট জলাশয় সৃষ্টি করে।
গবেষণায় বলা হয়, ২০ প্রজাতির মোট ৪৪১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। শ্রেণিবিন্যাস ও নামকরণের বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ১৭টি নতুন প্রজাতি পাওয়া যায়। আবার ডিএনএ বার কোডিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আরেকটি প্রজাতি শনাক্ত করা হয়। ১১ প্রজাতির প্রাপ্তবয়স্ক মাছের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ২ থেকে ৪০ মিলিমিটার। আর সাতটি প্রজাতির প্রাপ্তবয়স্ক মাছের দৈর্ঘ্য ৩৭ থেকে ২২০ মিলিমিটার। গবেষণা প্রকল্পগুলো তত্ত্বাবধান করেন ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেসের অধ্যাপক এস এম শরীফুজ্জামান। দলে আরও ছিলেন অধ্যাপক সাঈদুর রহমান চৌধুরী, মো. শাহদাত হোসেন, এম শাহ নেওয়াজ চৌধুরী।  এ ছাড়া শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আহসান হাবিব ও জাপানের মি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সে সি কিমুরাও প্রকল্পে যুক্ত ছিলেন। উক্ত গবেষণা প্রকল্পে অর্থায়ন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

সর্বশেষ খবর