১৪ মে, ২০২২ ১৮:৩৬

শ্রীমঙ্গলে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে পিয়াজ

১৭ হেক্টরে উৎপাদন ১৬৭ মণ

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

শ্রীমঙ্গলে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে পিয়াজ

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বাণিজ্যিকভাবে পিয়াজ চাষ করা হয়েছে। চলতি রবি মৌসুমে উপজেলার আশিদ্রোন, ভূনবীর ও সদর ইউনিয়নে ৫০ জন কৃষক ১৭ হেক্টর জমিতে পিয়াজ চাষ করেছেন। এর মধ্য ১০ জন কৃষককে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পিয়াজ চাষের জন্য প্রদর্শনী প্লট দেয়া হয়েছে। আর ৪০ জন কৃষককে দেয়া হয়েছে প্রনোদনা। চাষকৃত পিয়াজ বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন কৃষকরা। 

স্থানীয় কৃষকরা আগামীতে এ উপজেলায় আরো অধিক পরিমান জমিতে পিয়াজ চাষের স্বপ্ন দেখছেন। উপজেলা কৃষি অফিস মনে করে, পিয়াজ চাষ বৃদ্ধি পেলে একসময় এ উপজেলার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পিয়াজেই স্থানীয় চাহিদা মেটাতে পরবেন। 

উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, দেশে পিয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গত বছর এ উপজেলায় ১২ জন কৃষককে দিয়ে পরীক্ষামূলক পিয়াজ চাষ করানো হয়েছিল। ফলন ভালো হওয়ায় এ বছর কৃষকরা বাণিজ্যিকভাবে পিয়াজ চাষ শুরু করেছেন। কৃষকরা তাদের জমিতে উচ্চ ফলনশীল বারী-১, তাহেরপুরী ও লালতীর টুয়েন্টি জাতের পিয়াজ বীজ রেপন করেছিলেন। বারী-১ ও তাহেরপুরী বীজ নিয়ে আসা হয়েছিল যশোর থেকে।  ফলন খুব ভাল হয়েছে। ১৭ হেক্টর জমি থেকে উৎপাদন হয়েছে ১৬৭ মন পিয়াজ। হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয়েছে ৯.৮২ টন।
পারের টং গ্রামের কৃষক নাজমুল হাসান জাজান, তিনি এবার প্রথম পিয়াজ চাষ করেছেন। ২ বিঘা জমি থেকে তিনি ২২ মন পিয়াজ পেয়েছেন। প্রতি কেজি বিক্রি করেছেন ২৭-২৮ টাকা করে।  

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি বলেন, এ উপজেলায় মাটি ও আবহাওয়া পিয়াজ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। আর পিয়াজ হচ্ছে একটি লাভজনক কৃষিপন্য। প্রতিদিনই বাজারে এ পণ্যের চাহিদা রয়েছে। শ্রীমঙ্গলে  পিয়াজের ফলন দেখে কৃষকরা আরো আগ্রহী হচ্ছে। আগামীতে এই কৃষকদের সাথে অন্য কৃষকরাও আরো বেশী পরিমান জমিতে পিয়াজ চাষ করবে। আর এভাবে পিয়াজ চাষ বৃদ্ধি পেতে থাকলে ২-৪ বছরের মধ্য কৃষকরা নিজেরা উৎপাদন করেই এখানকার পিয়াজের চাহিদা মিটাতে পারবে।  


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

সর্বশেষ খবর