তুলনামূলক শ্রম ও ব্যয় কম হওয়ায় ধানের জমিতে মাঁচা পদ্ধতিতে উন্নত জাতের লাউ চাষে বেশি ফলন ও দাম ভাল পাওয়ায় খুশি কৃষক। বাম্পার ফলন হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে লাউ যাচ্ছে ঢাকাসহ সারাদেশে। খাদ্যশষ্য উৎপাদনে মাটি ও পরিবেশ রক্ষার্থে জৈব সার ব্যবহার করে ব্যাপক সাফল্যের সাথে সাড়া ফেলেছেন বীরগঞ্জ, খানসামা, বোচাগঞ্জসহ দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলার কৃষকরা।
লাভ বেশী হওয়ায় অনেক কৃষক ধানের জমিতে লাউ চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন। আগাম জাতের লাউ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঁচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ করায় পোকামাকড়ের আক্রমনও কম। গতবারের চেয়ে এ বছর ভালো দাম পাওয়ায় লাউ চাষিরাও খুশি। কৃষক মাঠ পর্যায়ের প্রতি পিচ লাউ ২৫-৩০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করছেন।
বীরগঞ্জের মোহনপুর ইউপির দক্ষিণ পলাশবাড়ী গ্রামের অধিকাংশই কৃষক সবজি চাষ করে ব্যাপক স্বাবলম্বী হয়েছেন। মোহনপুর ইউপির দক্ষিণ পলাশবাড়ী গ্রামের মোমর আলী এবছর ধানের ১২কাঠা জমিতে আগাম লাউ চাষ করেছেন। ফলন হয়েছে বাম্পার। এতে তার সব মিলে খরচ প্রায় ১৩ হাজার টাকা এবং এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ৫৫ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন।
একই গ্রামের কৃষক সম্রাট আকবর দেড় বিঘা জমিতে লাউ চাষ করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, লাউ চাষে খরচ কম, লাভ বেশি তাই আমি এ বছর লাউ চাষ করেছি। এপর্যন্ত ৪০হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছি। জমিতে আরও লাউ রয়েছে।
এদিকে, বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জ পৌরসভার মুশিদহাট ফার্ম সংলগ্ন জমিতে মাচা পদ্ধতিতে সল্প সময়ে লাউ চাষ করে আর্থিকভাবে ব্যাপক লাভবান কৃষকরা।
বোচাগঞ্জের ৪জন কৃষক তোফা, মোস্তফা হোসেন, হাবিবুর রহমান ও আনিসুর রহমান মাস দুয়েক আগে সেতাবগঞ্জ চিনিকলের আওতাধীন মুশিদহাট ফার্মের ১০একর জমি লীজ নিয়ে মাচা পদ্ধতিতে নাইস গ্রীন জাতের লাউ চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন।
কৃষি অফিস জানায়, লাউয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ দিন দিন বাড়ছে। ধান, ভুট্রা, গম এর পাশাপাশি ডাঙ্গা জমিতে করলা, লাউ, পটল, ভেন্ডি, মিষ্টি কুমড়া, বেগুনসহ বিভিন্ন সবজি চাষে ঝুকছে এলাকার কৃষকরা। স্থানীয় বাজার চাহিদা পুরন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে লাউসহ অন্যান্য সবজি বিক্রি হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ