আবহমান গ্রাম-বাংলার চিরায়াত ঘুড়ি উৎসব সংস্কৃতি এখন হারানোর পথে। হারানো ঐতিহ্য ফেরাতে ও বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রথমবারের মতো ঘুড়ি উৎসব। রবিবার সকালে বসুন্ধরা শুভসংঘ জয়পুরহাটের আক্কেলপুর শাখার উপদেষ্টা এম রাসেল আহমেদ রোয়াইড়-রাজকান্দার দিগন্তজোড়া সরিষা ক্ষেতের হলুদ মাঠে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন।
মেঘমুক্ত সাদা আকাশে লাল, নীল, হলুদ, বেগুনি, সাদা-কালো রঙের বাহারি সব ঘুড়ি নিয়ে এই বিশাল আয়োজন করে শুভসংঘের বন্ধুরা। নাটাই ও হরেক রকম বর্ণিল ঘুড়ি হাতে শিশু-কিশোর, যুবক। কে কত উঁচুতে ওড়াতে পারে, চলে সে প্রতিযোগিতা। আকাশ ছোঁয়ার এ লড়াইয়ে মেতে ওঠে শিশু-কিশোরেরা।
অনুষ্ঠানে আক্কেলপুর শাখার উপদেষ্টা এম রাসেল আহমেদ বলেন, ঘুড়ি কত ছেলে-মেয়ের জীবনের একটি সুন্দর স্মৃতির পরিভাষা রচনা করেছে। কত আনন্দের জন্ম দিয়েছে। কত অভিজ্ঞতার ঝুলি ভরিয়েছে। দেশে নবাবী আমলে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রচলন ছিল। আমরা ছোটবেলায় অনেক ঘুড়ি উড়াতাম।
ঘুড়ি উৎসব দেখতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা মশিউর রহমান মিশু বলেন, শিশুদের ঘুড়ি ওড়ানো দেখে ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছি। তারা অনেক আনন্দ-উচ্ছ্বাস নিয়ে ঘুড়ি ওড়াচ্ছে। ওদের শৈশব বিকাশে এমন উৎসব খুবই প্রয়োজন। ঘুড়ি উৎসব দেখে খুব ভালো লেগেছে।
শুভসংঘের আক্কেলপুর শাখার সভাপতি মওদুদ আহম্মেদ বলেন, এখনকার শিশুরা ডিজিটাল প্রযুক্তিতে আসক্ত। তারা গ্রামীণ সংস্কৃতির সঙ্গে তেমন পরিচিত নয়। এতে তাদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ আসক্তি থেকে ফেরাতেই আমাদের এ আয়োজন। নিয়মিত এ ধরনের আয়োজন করা হবে।
শুভসংঘের ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শুভসংঘ সাধারণ সম্পাদক শাদমান হাফিজ শুভ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মিশু, অর্থ সম্পাদক শাহরিয়া সিয়াম, দপ্তর সম্পাদক সকেল হোসেন, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জুনায়েদ আল জুবেরী সাবাব, মামিনুর রহমান সজল, আজমির আহম্মেদ ও খায়রুন নেছা প্রমুখ।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল