ঐতিহ্যবাহী কলেজিয়েট স্কুলের গৌরবময় ১৮০ বছরপূর্তি উৎসব ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমি বকশিরহাটের ছেলে। কাজেই বকশিরহাট থেকেই রোজ আমাকে কলেজিয়েট স্কুলে আসতে হতো। বকশিরহাট থেকে হেঁটে আন্দরকিল্লায় আসতাম। ওখানে বকশিরহাট পুলিশ বিট ছিল। ওখান থেকেই বাসে চড়ে কালীবাড়ি এলাকায় নামতাম। সেখান থেকে পায়েহেঁটে স্কুলে আসতাম।’
শনিবার সকালে ওই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এসে ড. ইউনূস যেন ফিরে গেলেন ৬১ বছর আগের সেই দিনগুলোতে। ১৯৫৫ সালে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকেই মেট্রিকুলেশন পাস করেছিলেন দেশের এই কৃতি সন্তান। তিনি বলেন, ‘পুনর্মিলনী একটি অকৃত্রিম সংস্করণ। এখানে স্কুলের নানান স্মৃতিকথা মনে পড়ে। স্কুলে বন্ধুদের একেকজনকে একেক নামে ডাকতাম। সুমইননা, কুদ্দুছইচ্ছা এইসব। নাম বিকৃত করতে স্যারেরাও বাদ থাকতেন না। আজ অবধি আমরা ওই নামে বন্ধুদের চিনি। ভাল নামে অনেকজনকে চিনি না।’
কলেজিয়েট স্কুলের এই অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন। তাকে ঘিরে চলে উৎসুক বন্ধু ও অগ্রজ-অনুজদের নানা কথা ও স্মৃতিচারণ। বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী এই কৃতি সন্তানকে পেয়ে তাই স্কুলজীবনের বন্ধু-সহজনরা মেতে ওঠেন আড্ডা, ভোজ ও ছবি তোলায়।
চট্টগ্রাম কলেজিয়েটসের সভাপতি ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেকের সভাপতিত্বে পুনর্মিলনী সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক আমির হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উৎসব উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ মোস্তাক হোসাইন। সভায় চার সাবেক শিক্ষার্থীকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন অনিরুদ্ধ সেনগুপ্ত, দিনাত জাহান মুন্নী এবং ব্যান্ডদল মাইলস ও অর্থহীন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ