জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাদেকুল ইসলাম মিলন অপহরণের সাত দিনেও খোঁজ পাওয়া যায় নি। গত ২৩ মে গভীর রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক এলাকা থেকে ডিবি পরিচয়ে অপহরণ করা হয় সাদেকুলকে ।
সাদেকুলের সহপাঠীরা জানান, তার গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার গাজীপাড়ায়। শেখের টেক এলাকায় একটি মেসে থাকত সে। ২৩ মে রাত ৩টার দিকে অপরিচিত কয়েকজন লোক নিজেদের ডিবি পুলিশের সদস্য পরিচয় দিয়ে ওই মেসে ঢোকে। তারপর তারা সবার মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে। এ সময় মেসের লোকজন আগত ব্যক্তিদের পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে তাদের ধমক দিয়ে চুপ থাকতে বলা হয়। পরে তারা সাদেকুলের মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে এবং তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরের দিন মিন্টো রোডের ডিবি পুলিশের কার্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করা হলে সাদেকুলের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে ২৫ মে সাদিকুলের ভগ্নিপতি রফিকুল ইসলাম আদাবর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। নিখোঁজের বিষয়টি গত সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছেও লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। মেসে থাকা সহপাঠীরা বলছেন, সাদেকুলের বিষয়ে কখনো খারাপ কিছু চোখে পড়েনি তাদের। কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সঙ্গেও তাঁর সম্পৃক্ততা ছিল না। ক্লাসে আসা-যাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল তার চলাফেরা।
জিডির তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার এসআই মো. আ.আল-মামুন বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তা ছাড়া অন্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করতে একটু সময় তো লাগেই। র্যাব, ডিবি সম্মিলিতভাবে কাজ করছে। আশা করছি, ভালো খবর দিতে পারব।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূর মোহাম্মদ বলেন, সাদেকুলকে খুঁজে পাওয়ার জন্য আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার