রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। অনেক বিসিএস ক্যাডার হচ্ছে। সেখান থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অনেকটায় পিছিয়ে আছে, শুধু মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতির কারণে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি ও সংস্কারের দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।
মানববন্ধনে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর সঞ্চালনায় সভাপতি গোলাম কিবরিয়া আরো বলেন, ‘গ্রন্থগারে জায়গা নিতে একজন শিক্ষার্থীকে রাত সাড়ে তিনটা-চারটার দিকে আসতে হয়। অত্যন্ত কষ্ট হয় এবং খারাপ লাগে, কী করে একজন শিক্ষার্থীকে এতো আগে ঘুম নষ্ট করে সিট ধরতে হয়! তবুও আরামে সিট ধরা যায় না। সিট ধরার পরে আবার সকাল আটটার মধ্যে এসে সেখানে প্রবেশ করতে হয়। না হলে সে সিট থাকে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাত্র ১১৮ জন শিক্ষার্থী সেখানে পড়ার সুযোগ পায়, বাকিরা সুযোগ পায় না।
এসময় মানববন্ধনে সহ-সভাপতি হাবিবুল্লাহ নিক্সন বলেন, ‘৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদযাপনের দেখেছি প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা শোভাযাত্রায় সবাই হাস্যজ্জ্বল হয়ে ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই ব্যানারে লেখা ছিল ‘গ্রন্থাগারে বই পড়ি, আলোকিত মানুষ গড়ি’। আমার মনে হয় এটাও একটা হঠকারিতা, যেই গ্রন্থাগারে তারা ৩৮ হাজার শিক্ষার্থীদের এক হাজারকে জায়গা দিতে পারে না, তারা সেখানে কিভাবে আলোকিত মানুষ গড়বে? বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ভর্তি আছে তাদের সংখ্যা থেকে শুরু করে হাজার হাজার লাখো লাখো শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুদ্ধ করে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে শুধুমাত্র ১১৮ জনকে দিয়েই তারা আলোকিত মানুষ গড়ার স্বপ্ন দেখে? প্রশাসনের এই হঠকারীতাকে আমি ধিক্কার জানাচ্ছি। ২০১৪ সালে বিশ্বব্যাংক রাবি গ্রন্থাগারের উন্নয়নের জন্য ৩ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা দিয়েছিল। ‘চুনকাম’ ছাড়া ৩ কোটি ২৯ লক্ষ টাকার কোনো উন্নয়ন আমরা আজ পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছি না।’
দেড় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে গ্রন্থাগারে নিজস্ব বইপত্র নিয়ে প্রবেশের অনুমতি প্রদানসহ ৯ দফা দাবি জানিয়ে উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও মানববন্ধন থেকে আগামী দিনে এই যৌক্তিক দাবিগুলো আদায় না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে রাজপথে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
এ সময় আরো বক্তব্য দেন, রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি স্বরূপ সুপ্ত সাহা, খালিদ মুনতাসির এলাহী, রুহুল আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন, সাদ্দাম হোসেন সজিব, সাংগঠনিক সম্পাদক চ ল কুমার অর্ক, ইমরান খান নাহিদ, প্রচার সম্পাদক কামরুল হাসান, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক রবিউল সরকার রুবেল, উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সুলতান, সহ-সম্পাদক সুমন আহমেদ সান, কলা অনুষদের সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ, আইন অনুষদের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুন নায়িমা, মার্কেটিং বিভাগের সাদেকুল ইসলাম সাদ্দাম, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর