২০ মে, ২০১৯ ২০:১০

প্রেসিডেন্সি কলেজকেও ছাড়িয়ে গেছে রাজশাহী কলেজ : বাদশা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

প্রেসিডেন্সি কলেজকেও ছাড়িয়ে গেছে রাজশাহী কলেজ : বাদশা
মানের দিক থেকে দেশসেরা রাজশাহী কলেজ কলকাতার বিখ্যাত প্রেসিডেন্সি কলেজকেও ছাড়িয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। কলেজটির এইচএসসি ব্যাচের পুনর্মিলনীর নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। রাজশাহী কলেজের এইচএসসি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন সোমবার দুপুরে কলেজ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 
 
ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ব্রিটিশ আমলে প্রেসিডেন্সি কলেজের পরে রাজশাহী কলেজের স্থান ছিল। কিছু দিন আগে আমি প্রেসিডেন্সি কলেজ ঘুরে এলাম। এখন রাজশাহী কলেজ প্রেসিডেন্সি কলেজের চেয়ে কোনোভাবেই নিচে নেই। সমস্ত দিক থেকে রাজশাহী কলেজ উন্নত, পরিচ্ছন্ন এবং এখানে শিক্ষার প্রসার অনেক বেশি ঘটেছে।
 
রাজশাহী-২ (সদর) আসনের এমপি বাদশা বলেন, রাজশাহীর কলেজের কৃতি ছাত্ররা শুধু সারা বাংলাদেশে নয়, সারা পৃথিবীতে আছে। তাই সবার কাছে অ্যালামনাইয়ের তথ্য পৌঁছে দিতে হবে। কেউ যেন বলতে না পারে খবর পাইনি। এই কলেজ থেকে অসংখ্য শিক্ষার্থী পাস করেছে। সবাই পুনর্মিলনীতে যদি হাজির হন, তাহলে এটা এই কলেজের গৌরবের একটা মহাসমুদ্রে পরিণত হবে। দেশের মানুষ তাকিয়ে দেখে বলবে, একমাত্র শিক্ষানগরী রাজশাহীতেই এটা সম্ভব।
 
অনুষ্ঠানে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ঐতিহ্যবাহী এই কলেজ থেকে আমার বাবা, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান পড়াশোনা করেছেন। এখন ৩০ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। কিন্তু কোথাও কোনো ময়লা-আবর্জনা নেই। সারা শহরের মানুষের কাছে এই কলেজ অনুসরণীয় এবং অনুকরণীয়।
 
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আদিবা আনজুম মিতাও উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক প্রফেসর হবিবুর রহমান। এমপি ফজলে হোসেন বাদশা, আদিবা আনজুম মিতা ও সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন অনুষ্ঠানে পুনর্মিলনীর নিবন্ধনের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন। এর আগে তারা বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন চলবে।
 
অনলাইন ছাড়াও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে গিয়ে পুনর্মিলনীতে অংশ নেওয়ার নিবন্ধন করা যাবে। ২০১২ সালের আগের ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনের জন্য লাগবে ১ হাজার ৮৭৩ টাকা। আর ২০১২ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ব্যাচের শিক্ষার্থীদের লাগবে ৭০০ টাকা। এছাড়া ৫০০ টাকায় নিবন্ধন করতে পারবেন বর্তমান শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের স্বামী, স্ত্রী কিংবা সন্তানেরা অংশ নিতে চাইলে মাথাপিঁছু দিতে হবে আরও ১ হাজার টাকা। অনলাইনে নিবন্ধনের সময় বিকাশ, রকেট এবং সব ব্যাংকের ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা দেওয়া যাবে। পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান হবে আগামী ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর।
 
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর