২২ জুন, ২০১৯ ১৮:১৬

‘ইতিহাসে অবদমিত নারীদের গৌরবগাঁথাকে এগিয়ে নিতে হবে’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

‘ইতিহাসে অবদমিত নারীদের গৌরবগাঁথাকে এগিয়ে নিতে হবে’

ইতিহাসে নারীর গৌরবগাঁথাকে দমিয়ে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, নারীদের আর দমিয়ে রাখা নয়, তাদের গৌরবগাঁথাকে এগিয়ে নিতে হবে।

আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ আয়োজিত এই সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল ‘ইতিহাসে নারী: দক্ষিণ এশিয়া প্রসঙ্গ’।

এসময় স্পিকার বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলনসহ শিক্ষা, সংস্কৃতি, শিল্প, রাজনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে বাংলাদেশের নারীরা অনন্য অবদান রেখেছেন। কিন্তু অনেক নারী এখনও ইতিহাসে সেভাবে ঠাঁই পাননি। গবেষণার মাধ্যমে ইতিহাসে সফল নারীদের অবদান তুলে ধরার জন্য তিনি ইতিহাসবিদদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যথাযথ ইতিহাস চর্চার মাধ্যমে জাতির কাছে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে। 

অনেক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে বাংলাদেশের নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে জয়ের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, নারীদের অসামান্য অবদানের কারণেই আজ সমাজ ও সভ্যতা এগিয়েছে। নারীদের এই অগ্রগতির ধারাকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

এর আগে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আমাদের দক্ষিণ এশিয়ায় নারীদের নিয়ে এক ধরনের দ্বৈততা রয়েছে। সামাজিকভাবে নারীদের অবস্থা শোচনীয়। এই যে দ্বৈততা, তার একটা অবসান প্রয়োজন। সঠিক ইতিহাস চর্চা এবং নারীর প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এই সম্মেলন সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, আমাদের বর্তমান প্রজন্ম ইতিহাস বিমুখ হয়ে পড়েছে। এর কারণ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় গলদ রয়েছে। এ গলদ কাটিয়ে উঠতে আমাদের কাজ করতে হবে। 

ইতিহাস ও মাতৃভাষার প্রতি সৃষ্ট সংকট উত্তরণে সকল কলেজ, পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস ও মাতৃভাষাকে কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ।  

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আখতারুজ্জামান বলেন, ইতিহাস সময়ের প্রতিবিম্ব। ইতিহাসকে ত্রিমাত্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করতে হয়। বর্তমানকে বুঝতে হলে অতীতকে জানতে হবে। সামনের দিকে সম্ভাবনা দেখতে হবে। একটি জাতির উত্থান, অগ্রগতি ও বিকাশকে ধারণ করে ইতিহাস। বাঙালির গৌরবজ্জ্বল অতীত বর্তমান প্রজন্মের সামনের তুলে ধরতে হবে। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে নারীর গৌরবগাঁথা তুলে ধরতে হবে।

সম্মেলনে ভারতসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ইতিহাসবিদ ও গবেষকগণ তাদের গবেষণা প্রবন্ধ তুলে ধরেন।

 

বিডি-প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর