২০ জুলাই, ২০১৯ ২২:০৪

'নতুন নতুন নেতা এসে শূন্যস্থান পূরণ করবে'

অনলাইন ডেস্ক

'নতুন নতুন নেতা এসে শূন্যস্থান পূরণ করবে'

সংগৃহীত ছবি

ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের জন্য ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জনিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। 

তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে ছাত্রলীগকে তৈরি হতে হবে। ২০৪০ সালে আমরা উন্নত বাংলাদেশে যাচ্ছি, তারও নেতৃত্ব এই ছাত্রলীগকেই দিতে হবে। আমরা সেই স্বপ্নই দেখছি, আমরা আশা করি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সেই ভূমিকাটাই নিবে। নতুন নতুন নেতা এসে আমাদের শূন্যস্থান পূরণ করবে।

শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ কর্তৃক আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যা কিছু অর্জন তার সবই ছাত্রলীগের অবদান। তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের কোনো মিছিল না গেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো আন্দোলন করতে পারতো না। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, চুয়ান্নর আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন সব কিছুতেই ছাত্রলীগের অবদান রয়েছে। যাদের ছাত্রত্ব আছে, যাদের কোনো দুর্নাম নেই তাদের ছাত্রনেতা বানানোর আহ্বান জানান তিনি।

জবি ছাত্রলীগের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের এমনও সময় গেছে যে সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ) শাখা ছাত্রলীগ মিছিল বের না করলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো মিছিল বা আন্দোলন করতে পারতো না। তখন থেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একটা শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেছে। আশা করছি আগামীতেও এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।

যারা নেতা নির্বাচন করবে তাদের উদ্দেশ্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা নেতা নির্বাচন করবে তারা দেখে শুনে নেতা নির্বাচন করবেন। যাদের ছাত্রত্ব আছে সেই ধরনের ছাত্রদের নেতা নির্বাচন করুন। যার নামে কোনো কলঙ্ক নেই এমন নেতা তৈরি করুন। যাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটা সুন্দর জায়গায় পৌঁছাতে পারে।

জবি ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আপনারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বের ইতিহাস ও গৌরব ধরে রাখবেন। যাকেই নেতা নির্বাচন করুক তাকেই নেতা হিসেবে মানতে হবে। সবাই হয়তো সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হতে পারবে না কিন্তু সবাই অন্যান্য নেতা হবে। সবাই প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন ছাত্রলীগ হবেন এটাই আমার প্রত্যাশা। প্রধানমন্ত্রী আপনাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। আপনাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখেন বলেই তিনি একের পর এক বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো একেরপর এক পূরণ করে যাচ্ছেন।

সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম টিটনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট কাজী নজীবুল্লাহ হীরু, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, নজরুল ইসলাম বাবু এমপিসহ জগন্নাথ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

সম্মেলন উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।

বিডি প্রতিদিন/২০ জুলাই, ২০১৯/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর