চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অতীতের গ্রুপিং ও অস্ত্রের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনীতির আশ্বাস দিয়েছেন নব গঠিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
সোমবার দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তারা।
সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক জানান, আমরা দায়িত্ব পেয়ে বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। ছাত্রলীগকে গতিশীল করতে আমরা স্বল্প সময়ের মধ্যে হল, অনুষদ, বিভাগের কমিটি গঠন করবো।
তারা আরও জানান, ছাত্রদের যে কোনো যৌক্তিক দাবি পূরণে ছাত্রলীগ সবসময় পাশে থাকবে। হলের খাওয়ার মানবৃদ্ধি, আবাসিক সমস্যা, যাতায়াত সমস্যা নিয়ে কাজ করবো। আমাদের চাকসু নেই। খুব দ্রুত চাকসু নির্বাচন দেওয়ার জন্য আমরা প্রশাসনের কাছে আবারও আবেদন জানাবো। কয়েকদিন আগে সিনেট অধিবেশন গেলেও আমাদের ছাত্রপ্রতিনিধি না থাকায় কেউ কোনো কথা বলতে পারিনি।
অস্ত্রের রাজনীতি নিয়ে তারা বলেন, ‘অস্ত্র দিয়ে নয়, বুদ্ধি দিয়ে রাজনীতি করবো। অতীতের যে অস্ত্রের রাজনীতি তা সম্পূর্ণরূপে প্রতিহত করার জন্য আমরা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। যেখানেই অস্ত্র নিয়ে কাউকে পাওয়া যাবে সাথে সাথে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অস্ত্রবাজদের পক্ষে ছাত্রলীগ কখনো দাঁড়াবে না।’
তারা আরও বলেন, বর্তমানে গুজব ও যৌন নির্যাতন বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে নেতারা বলেন, সাংবাদিক সমিতি এবং ছাত্রলীগ একে অপরের পরিপূরক। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানে আমরা সাংবাদিকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ কাত মিলিয়ে কাজ করবো।
বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের চৌধুরীর সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চবিসাসের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল, সাবেক সভাপতি সৈয়দ বাইজিদ ইমন, সহ-সভাপতি মিরাজ বাপ্পি, যুগ্ম সম্পাদক আবদুল্লাহ হামিদ রাকিবসহ সমিতির সদস্য ও কর্মরত সাংবাদিকরা।
প্রসঙ্গত, প্রায় ১৯ মাস পর গত ১৪ জুলাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। যেখানে রেজাউল হক রুবেলকে সভাপতি এবং ইকবাল হোসেন টিপুকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন