ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের গাড়িতে বসা নিয়ে দলের দুই সহ-সভাপতির মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মারামারিতে তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী জহির এবং শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ নামে ওই দুই নেতাই আহত হয়েছেন।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন মধুর ক্যান্টিন থেকে যাওয়ার সময় তার গাড়িতে ওঠেন ছাত্রলীগের দুই সহ-সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী জহির এবং আল নাহিয়ান খান জয়সহ আরও কয়েকজন। গাড়িতে না উঠতে পেরে বিদ্যুৎ ঝামেলা করা শুরু করলে একপর্যায়ে শোভন অন্যদেরও গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জহির এবং বিদ্যুতের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা পরে হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে দুজন দুজনকে বাঁশ দিয়ে আঘাত করতে তেড়ে যায়। এসময় দুজনেরই মাথা ফেটে যায়। বিদ্যুৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্র এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। মারামারির পর ছাত্রলীগ সভাপতি ফিরে এসে জহিরকে তার গাড়ি করে নিয়ে যান।
ঘটনার বিষয়ে শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ সাংবাদিকদের বলেন, গাড়িতে বসা নিয়ে নয়, সিন্ডিকেট নন-সিন্ডিকেট নিয়ে বাকবিতণ্ডা হচ্ছিল। এক পর্যায়ে সে আমার কলার চেপে ধরলে আমিও তার কলার চেপে ধরি। পরে জহির ইট দিয়ে আমাকে আঘাত করে।
বিদ্যুৎ আরও বলেন, তার (জহিরের) সাথে এটা মূলত আদর্শিক দ্বন্দ্ব। সিন্ডিকেটের লোকেরা ছাত্রলীগের কমিটি ভাঙার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মারামারির বিষয়টি অস্বীকার করে জহির বলেন, আমার সাথে কারো মারামারি হয়নি। বিদ্যুতের অভিযোগ সর্ম্পকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, সে-ই ভাল বলতে পারবেন।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম