সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশি নারী শ্রমিকদের ওপর বর্বরোচিত যৌন নির্যাতন, জীবননাশ ও বাংলাদেশ মিশনের দায়িত্বহীনতার প্রতিবাদে গণজমায়েত ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিভিন্ন শেণি-পেশার মানুষ।
শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে ‘বাংলাদেশের সচেতন নাগরিক সমাজে’র ব্যানারে আরও কয়েকটি সংগঠন এতে অংশগ্রহণ করে। সমাবেশে নারী শ্রমিক নির্যাতন বন্ধে ১০ দফা দাবি জানানো হয়।
এসময় কবি শওকত হোসেন বলেন, বিভিন্ন দেশ সৌদি আরবে নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করে দিলেও শুধু রেমিট্যান্সের আশায় যথাযথ আইন অনুসরণ না করে স্রেফ সমঝোতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ সেখানে শ্রমিক পাঠাচ্ছে। সৌদিতে নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা প্রদানের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ব্যর্থতা অস্বীকার করতে পারে না। শ্রমিকরা প্রায়ই দেশে ফিরে আসছে। তাদের মধ্যে অনেকেরই কাজের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও ফেরত আসছে। আমরা এই লজ্জাজনক পরিস্থিতির অবসান চাই।
মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক শেখ বাতেন বলেন, মানিকগঞ্জের নাজমা দূতাবাসে তিনবার কল করেছে। তারা সাড়া দেয়নি। দূতাবাস ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাজ কী, যদি তাদের লাশ হয়েই দেশে ফিরতে হয়?
নারীবাদী সংগঠন ‘নারীপক্ষে’র রওশন আরা বলেন, নারীদের প্রতি যে সহিংসতা হচ্ছে, তা বন্ধ হওয়া উচিত। আমরা জানি প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করছেন। কিন্তু সরকারের কর্মকর্তাদের নিজেদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
সমাবেশে থেকে বিশিষ্ট সাহিত্যিক রাখাল সাহা ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলোর মধ্যে আছে, যারা নারীদের ধর্ষণ ও মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অবহেলা করছে তাদের বিচারের আওতায় আনা, নির্যাতিত নারীদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা, নারী শ্রমিক ধর্ষণ, হত্যা ও আত্মহত্যার দায়ে সৌদি নাগরিকদের বিচার নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগী হওয়া, যথাযথ চুক্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে শ্রমিক পাঠানো প্রভৃতি।
প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার, আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম, ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল