২৯ জানুয়ারি, ২০২০ ২২:৪৩

কুবির সমাবর্তনে দেয়া সনদপত্র ভুলে ভরা

কুমিল্লা প্রতিনিধি:

কুবির সমাবর্তনে দেয়া সনদপত্র ভুলে ভরা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রথম সমাবর্তনে দেওয়া হয়েছে ভুলে ভরা সনদপত্র। কারো বিভাগের নামে ভুল, কারো হলের নামে কিংবা কারো নিজের নামেরও বানানে ভুল। মূল সনদে এমন ভুল হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সমাবর্তনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা। গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সমাবর্তন শেষে দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের মোস্তফা কামালের মূল সনদে 'Public Administration'  এর স্থলে 'Pablic Administration' লেখা হয়েছে। বিভাগের নামের এ ভুল রয়েছে ওই ব্যাচের সকল শিক্ষার্থীর মূল সনদে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের ইংরেজি নামের বানান 'Nawab Foyzunnesa Chowdhurany Hall' কিন্তু ওই হলের শিক্ষার্থীদের মূল সনদে এ নামটিতেও রয়েছে ভুল। যেখানে লেখা হয়েছে 'Nawab Faizunnissa Chaudhurani Hall'। আবার শহীদ ধীরেন্দনাথ দত্ত হলের ইংরেজি নামের বানান দুইটি সনদে দুই ধরনের লেখা হয়েছে। ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অন্তর্ভুক্ত একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের ইংরেজি বানানেও রয়েছে ভুল। বিভাগটির এক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের বিভাগের নামের বানানে ‘একাউন্টিং’ এবং ‘এন্ড’ শব্দ দুটির মাঝে কোনো জায়গা না রেখে একসাথে লেখা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগ ও শিক্ষার্থীদের নামের বানানে ভুল রয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। 

এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মোস্তফা কামাল বলেন, ‘একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কতটা দায়িত্বহীন হলে কারো মূল সনদে এরকম ভুল করতে পারে সেটা আমার জানা নেই। আমাদের ব্যাচের সবার সনদে এমন ভুল। সত্যিই দুঃখজনক।’ নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের সকল শিক্ষার্থীরই হলের নামের বানানে ভুল হয়েছে। যেখানে Foyzunnesa Chowdhurany এর স্থলে Faizunnissa Chaudhurani। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন ভুলের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ওই হলের শিক্ষার্থী লিমা আক্তার বলেন, সমাবর্তনে অনেক বিষয় নিয়ে আমরা অসন্তুষ্ট ছিলাম। তারপরও আমরা চেয়েছি মূল সনদ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে। কিন্তু মূল সনদে এমন ভুল আমাদের জন্য হতাশার। প্রশাসনকে অবশ্যই এর দায় নিতে হবে।’

এ বিষয়ে সনদ তৈরি ও বিতরণ উপ-কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, মূল সনদে ভুল হওয়ার বিষয়টি মাত্র জানতে পারলাম। ভুল হওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। আমরা অনেকবার যাচাই করেছি। সে সময় নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরে গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা রবিবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন,‘যে যে সনদপত্রে ভুল হয়েছে সেগুলো কোনো ফি ব্যতীতই পরিবর্তন করে দেওয়া হবে। একসাথে প্রায় ছয়-সাত হাজার সনদ তৈরি করতে গিয়ে হয়তো এমন ভুলগুলো হয়েছে। প্রয়োজন হলে সবারগুলোই পরিবর্তন করে দেয়া হবে। তবে মনে হয় না সবার সনদে এমন ভুল হয়েছে।’ 

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর