১৩ জানুয়ারি, ২০২১ ১৮:৪৮

রাতের আঁধারে ক্যাম্পাস ত্যাগ হাবিপ্রবি’র ভিসি’র

দিনাজপুর প্রতিনিধি

রাতের আঁধারে ক্যাম্পাস ত্যাগ হাবিপ্রবি’র ভিসি’র

স্ত্রীর অসুস্থতার কথা জানিয়ে কাউকে কিছু না বলে ভোর রাতে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মু. আবুল কাশেম। 

এদিকে হাবিপ্রবি’র ভিসি’র মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮দিন আগে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেলেন। তার যাওয়ার কারণে মঙ্গলবার রাতে ছাত্র-শিক্ষকসহ তার বৈঠকের পর একটি ৫সদস্যের কমিটি গঠনের কথা বলা হলেও তা ঝুলে যায়। তাঁর চলে যাওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদারকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব দিয়ে গেছেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ফজলুল হক। 

শিক্ষার্থীরা জানায়, ক্লাশ-পরীক্ষা চালু, নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবী নিয়ে মঙ্গলবার ভাইস চ্যান্সেলরের বাসভবনের সামনে দিনভর অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক ছাত্র। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভাইস চ্যান্সেলরের বাসভবনে অবস্থান নেয় পুলিশ ও সিভিল প্রশাসন। দিনভর অবস্থান শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বসে অবস্থান কর্মসূচী শুরু করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত অনড় থাকার ঘোষণা দেন তারা। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন দাবিতে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে এলেও সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উপাচার্য তাদের সাথে দেখা করেননি এবং কথা বলেননি। পরে রাতে শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় উপাচার্যের সাথে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বৈঠক হয়। 

এ ব্যাপারে হাবিপ্রবি’র রেজিস্ট্রার বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ফজলুল হক জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৭টার দিকে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা হয়। ছাত্রদের নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবী নিয়ে আলোচনা হয়। সন্তোষজনক সমাধানও হয়। পরে সমস্যা সমাধানে উপাচার্য ৫সদস্যের কমিটি গঠনের কথা বলেন। কিন্তু সকালে জানতে পারি তিনি মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাঁর পরিবার নিয়ে বাসভবন ছেড়ে ঢাকায় চলে গেছেন। যাওয়ার আগে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদারকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে একটি নোট রেখে গেছেন।
তিনি আরো বলেন, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপাচার্য আমাকে ফোনে জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি ঢাকায় চলে গেছেন। তার চলে যাওয়ায় ওই ৫ সদস্যের কমিটি গঠন ঝুলে রইল। উপাচার্যের মেয়াদ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের পহেলা তারিখ শেষ হওয়ার কথা। 

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন
 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর