২ মার্চ, ২০২১ ১৭:৩৫

'আত্মত্যাগের মধ্যেই জীবনের স্বার্থকতা'

গাজীপুর প্রতিনিধি:

'আত্মত্যাগের মধ্যেই জীবনের স্বার্থকতা'

আত্মত্যাগের মধ্যেই হলো একজন মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় স্বার্থকতা বলে মনে করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ। তিনি বলেন, শিক্ষকতার চেয়ে মহান পেশা আর নেই। প্রকৃত শিক্ষকদের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স লাগে না। সম্মান দেয় না, বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সম্মান অর্জন করতে হয়। আত্মত্যাগের মধ্যেই হলো একজন মানুষের জীবনের স্বার্থকতা।

মঙ্গলবার জুম অ্যাপসের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ অধ্যক্ষবৃন্দের সঙ্গে উপাচার্যের ৮ বছরের সফল মেয়াদান্তে এক শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন উপাচার্য। প্রায় ৩৫০টি কলেজের অধ্যক্ষবৃন্দ এই শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় যুক্ত ছিলেন। 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যারয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রত্যাশা করে উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ আরও বলেন, আজকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যতো উন্নয়ন হয়েছে তা আপনাদের সার্বিক সহযোগিতার ফলেই সম্ভব হয়েছে। সকল উন্নয়নে আপনারাই হলেন প্রধান অংশীদার। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আজ যে পর্যায়ে রয়েছে, এখানে এসে থমকে থাকলে চলবে না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে উত্তরোত্তর আরও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে হবে। নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে ত্যাগের আদর্শে বলীয়ান হয়ে যদি আমরা স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করি তাহলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য রয়েছে এক উজ্জ্বল ভবিষ্যত।

মতবিনিময় সভায় কলেজ অধ্যক্ষদের মধ্যে রাজশাহী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, বরিশাল বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মো. গোলাম কিবরিয়া, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. রুহুল আমিন ভুঁইয়া, সোনার বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. সেলিম রেজা সৌরভ, মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আমিনুল হক, অধ্যক্ষ খুলনা বি এল কলেজ, অধ্যক্ষ রংপুর কারমাইকেল কলেজ, অধ্যক্ষ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কলেজ সাতক্ষীরা, অধ্যক্ষ হাজী ওয়াজেদ আলী টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, অধ্যক্ষ ফাতেমা ল কলেজ,  অধ্যক্ষ ভোলা সরকারি কলেজ, রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জুবাইদা সিদ্দিকা, অধ্যক্ষ লালমাটিয়া মহিলা কলেজ, অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজ বগুড়া, অধ্যক্ষ এএমসি কলেজ, অধ্যক্ষ মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজ প্রফেসর আমিনুল হকসহ ৩৫টি কলেজের অধ্যক্ষবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন। 

মতিবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান, স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন, স্নাতকপূর্ব স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. নাসির উদ্দিন, কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান, জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক ফয়জুল করিমসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ।

বিডি প্রতিদিন/ মজুমদার 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর