বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রফেসর ড. এ. কে. এম. আমিনুল ইসলাম টানা তৃতীয় মেয়াদের (জুন ২০২১-জুন ২০২৩) জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (গবেষণা) নিযুক্ত হয়েছেন। তিনি তার প্রথমও দ্বিতীয় মেয়াদের ৪ বছর সফলতার সাথে শেষ করেছেন।
এছাড়াও সম্প্রতি তিনি আগামী তিন বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য মনোনীত হয়েছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে প্রথমবারের মতো ২০২০-২০২১ সালের শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রফেসর ড. এ. কে. এম. আমিনুল ইসলাম ১৯৭৩ সালে কুমিল্লা জেলার ব্রাক্ষ্মনপাড়া উপজেলার কান্দুঘর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ হতে বি.এসসি. এজি. (সম্মান) এবং এম.এসসি. (এজি) ডিগ্রি অর্জন করেন। প্রফেসর ড. এ. কে. এম. আমিনুল ইসলাম মালয়েশিয়ার ন্যাশানাল ইউনিভার্সিটি থেকে কেমিক্যাল এবং প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং এ পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্ট ডক্টরাল গবেষণা করেন।
প্রফেসর ড. এ. কে. এম. আমিনুল ইসলাম ইতোপূর্বে পরিচালক (গবেষণা) ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিভিন্ন পেশাগত সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন। প্রফেসর ড. এ. কে. এম. আমিনুল ইসলাম বর্তমানে বাংলাদেশ উদ্ভিদ প্রজনন ও কৌলিতত্ত্ব সমিতিরি সাধারণ সম্পাদক এবং জাইকা এ্যালামনাই এসোসিয়েশন বাংলাদেশের সেমিনার এবং রিসার্চ সেক্রেটারীর দায়িত্বও দ্বিতীয় মেয়াদে পালন করছেন।
প্রফেসর ড. এ. কে. এম. আমিনুল ইসলামের ২১ বছরের শিক্ষকতা ও গবেষণার অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং বিভিন্ন দেশী ও বিদেশী জার্নালে তার ১২০ টিরও বেশি গবেষণাপত্র, ২০টি বইয়ের চাপ্টার, ৩টি বই প্রকাশিত হয়েছে। প্রফেসর ড. এ. কে. এম. আমিনুল ইসলাম এ পর্যন্ত বিভিন্ন ফসলের ১৯টি জাত উদ্ভাবন করেছেন। যার মধ্যে বিউহাইব্রিডলাউ ১, বিউলাউ ১-২, বিউ কেপসিকাম ১, বিউলালশাক ১, বিউ রোজেল ১ বিউবার, মাসীসিম ১, বিউসিম ১-৬, বিউবারমাসীসিম ১, বিউখাটসিম ৮-৯, এবংবিউ চেরী টমেটো ২-৫ উল্লেখযোগ্য। তিনি দেশী ও বিদেশী বিভিন্ন জার্নালের এডিটরিয়াল বোর্ডের সদস্য হিসেবে কাজ করছেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত