সরকার ঘোষিত গণটিকা প্রদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে ইউনিয়ন ভিত্তিক টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এজন্য সকল সাংগঠনিক জেলা ও মহানগর কমিটিকে তাদের আওতাধীন সকল উপজেলা ও ইউনিয়ন ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠনপূর্বক তালিকা সংগঠনের দপ্তরসেলে পাঠাতে বলা হয়েছে। সোমবার ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, দেশের আপামর জনসাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সুশৃঙ্খলভাবে করোনা প্রতিরোধক টিকা গ্রহণ করতে পারে সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাংগঠনিক ইউনিট ভিত্তিক বিভিন্ন টিমে বিভক্ত হয়ে প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্রে সরকারি কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবে। এলক্ষ্যে সকল সাংগঠনিক জেলা ও মহানগর কমিটিকে তাদের আওতাধীন সকল উপজেলা ও ইউনিয়নে টিকাদান কেন্দ্র ভিত্তিক পৃথক স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠনপূর্বক তালিকা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তরসেলে ([email protected]) পাঠানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নেতৃবৃন্দ উক্ত কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বেচ্ছাসেবক টিমকে শোকাবহ আগস্টের কালো ব্যাজ ধারণ এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুসংগঠিতভাবে গণটিকা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, মহামারীকালীন জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের জনগণ বিনামূল্যে কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ করছে। ইতোমধ্যে টিকা কার্যক্রম রাজধানী থেকে শুরু হয়ে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পরিচালিত হচ্ছে এবং প্রায় অর্ধ কোটি মানুষ দুই ডোজ টিকা গ্রহণ করেছেন।
সবাইকে টিকার আওতায় আনতে ধারাবাহিকভাবে বয়সসীমা কমিয়ে ২৫ বছর করা হয়েছে এবং আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ১৮ বছর করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি সকল বিভাগীয় ও জেলা শহর এবং মহানগরের পাশাপাশি ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে গণটিকা কার্যক্রম শুরুর নির্দেশনা দিয়েছেন জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী। সরকার আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে এক কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করেছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক