রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একই দিনে দুটি হামলার ঘটনা ভাবিয়ে তুলছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও নগরবাসীকে। দুর্বৃত্তদের হামলায় এক শিক্ষার্থীর বাম হাতে কব্জির রগ কাটা গেছে। অপর ঘটনায় এক শিক্ষককে মারপিট করে আহত করা হয়েছে। দীর্ঘ দিন পরে রংপুরে রগকাটার ঘটনায় অনেকেই মনে করছেন একটি মহল পরিকল্পিত ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে এমনটা করেছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নং গেটের সামনে পরাগ মাহমুদ আহত হন। দুর্বৃত্তরা তার বাম হাতের রগ কেটে দিয়েছ। দুপুর ১ টার দিকে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সৈয়দপুর থেকে বিমানযোগে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এদিকে সকালে জগিং করতে বের হলে লালবাগ এলাকায় শিক্ষক মনিরুজ্জামান হামলার শিকার হন। দুটি ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিযেছেন। এঘটনায় মেট্রোপলিটন তাজহাট থানার পুলিশ একজনকে আটক করেছেন। তবে তার পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক মনিরুজ্জামান সকালে জগিং করতে বের হলে কয়েকজন অপরিচিত যুবক দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে এলাপাথারি আঘাত করলে তিনি গুরুতরভাবে আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের দশম ব্যাচ এর শিক্ষার্থী পরাগ মাহমুদ নিজের ছাত্রাবাস থেকে সরদারপাড়াায় বন্ধুর ছাত্রাবাসে যাচ্ছিলেন। পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নং গেটের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা তিন যুবক তার পথরোধ করেন। তার কাছে থাকা সবকিছু দিয়ে দিতে বলেন। পরাগ অপারগতা জানালে এক যুবক তার পকেট থেকে চাপাতি বের করে তার বাম হাতে কোপ দিলে তার রগ কেটে যায়। তার কাছে থাকা মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় তাকে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ আলী জানান, আহত শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে। দুটি ঘটনায় প্রক্টর বাদি হয়ে মামলা করবেন।
তাজহাট থানার ওসি আকতারুজ্জামান প্রধান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল