টাঙ্গাইলের সখীপুরে একটি বাড়ি থেকে মা–মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়দের ধারণা, ২৬ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী মেয়ে সাজেদাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর নানা রোগে জর্জরিত মা শাহনাজ বেগম (৫৫) ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে পুলিশ বাড়িটি থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। শাহনাজ বেগম উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের মুচারিয়া পাথার এলাকার কৃষক শামছুল আলমের স্ত্রী।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা, পেটব্যথাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন শাহনাজ। অন্যদিকে তাঁর মেয়ে সাজেদা জন্মগতভাবে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। কয়েক দিন ধরে মেয়েটিরও শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ধারণা করা হচ্ছে, নিজের অসুস্থতা ও মেয়ের বাড়তি শারীরিক জটিলতা সামলাতে না পেরে মঙ্গলবার রাতে মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করে শাহনাজ রান্নাঘরে ফাঁস নেন। সকালে পরিবারের অন্য সদস্যেরা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য লোকমান হোসেন বলেন, প্রায় ২০ বছর ধরে নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন শাহনাজ। প্রতিবন্ধী সাজেদার বয়স ২৬–২৭ হলেও তার উচ্চতা ছিল দু–আড়াই ফুটের মতো। ছয় মাস ধরে মেয়েটি স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছিল না। একদিকে নিজের অসুস্থতা, অন্যদিকে মেয়ের অবস্থা—এই বাস্তবতা হয়তো মা–মেয়ের এমন পরিণতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। তিনি জানান, ঘটনার রাতে পরিবারের কর্তা শামছুল আলম গোয়ালঘরের একটি কক্ষে ঘুমাচ্ছিলেন।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম ভূঁইয়া বলেন, লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মা–মেয়ে দুজনই অসুস্থ ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শারীরিক ও মানসিক চাপে এমন ঘটনা ঘটেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বিডি-প্রতিদিন/সুজন