২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২০:৪০

আইএসইউ-তে আধুনিক সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে চাকরির সুযোগ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

আইএসইউ-তে আধুনিক সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে চাকরির সুযোগ

পুরো ক্যাম্পাসে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, সিসিটিভি, মাল্টিমিডিয়া প্রোজেক্টর সুবিধা সম্বলিত ক্লাসরুম, ওয়াই-ফাই সংযোগসহ সকল প্রকার আধুনিক সুযোগ-সুবিধা কী নেই? ধূমপানমুক্ত এবং স্বাস্থ্যকর ক্যাম্পাস হওয়াতে অগ্রাধিকার পাচ্ছে অভিভাবকদের পছন্দের তালিকায়।

বলছিলাম, ৬৯ মহাখালী ‘দি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স টাওয়ার’ সুবিশাল ভবনে পরিচালিত ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির কথা। শুধু কী তাই?  ভবনের ৮ম তলায় রয়েছে সমৃদ্ধ সুপরিসর লাইব্রেরি। এটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়ার মনোযোগেও ব্যাঘাত ঘটে না। 
লাইব্রেরিতে রয়েছে বিপুল সংখ্যক বই এবং ই-বুকস। আরও আছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিভিন্ন জার্নাল। এমন মনোরম পরিবেশে শিক্ষা অর্জনের সুযোগ মিলছে শিক্ষার্থীদের। উদ্যোক্তারা বলছেন, স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ এর ৩০টির অধিক সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি অন্যতম। শিক্ষাবর্ষ শেষ হলেই শিক্ষার্থীদের বিদায় জানানোর পক্ষে নয় তাঁরা। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশীপ ছাড়াও যোগ্য প্রার্থীদের চাকরির সুযোগ দিতে প্রস্তুত কর্তৃপক্ষ। 

ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি এর উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খান বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটিকে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে দেশের অন্যতম সুপ্রতিষ্ঠিত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ চলছে। এছাড়াও সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে উন্নয়ন কাজে পরিপূর্ণ সহায়তা করছেন উদ্যোক্তারা। মেধা, যোগ্যতা ও অধিকারের ভিত্তিতে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ১৪টি বিভিন্ন ধরনের স্কলারশীপ ও টিউশন ফি ওয়েভারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতের পাশাপাশি শিক্ষা সহায়ক নিয়ম শৃঙ্খলায় কঠোর নজরদারি রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হঠাৎ আবির্ভূত করোনা মহামারী আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করতে পারেনি। অত্যন্ত যতœসহকারে ও দক্ষতার সাথে শিক্ষকবৃন্দ অনলাইন ভিত্তিক পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমরা আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের প্রথম সারির একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে উন্নীত হবো। সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হলে মানসম্মত শিক্ষাদান, শিক্ষার্থী-বান্ধব ক্যাম্পাসের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। আমরা সে পথে এগোচ্ছি।’

জানা যায়, কম খরচে মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ’ এর দুই কর্ণধার ও আইএসইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম মোশাররফ হুসাইন ও ভাইস-চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো: আতিকুর রহমান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। তাঁদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন হয় ২০১৮ সালে ৩ জুন। প্রতিষ্ঠিত হয়, ইন্টারন্যাশনাল স্টান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি (আইএসইউ)।

সরকার ও ইউজিসি কর্তৃক অনুমোদিত এবং ‘বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০’-অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টি ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি ট্রাস্ট’ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠাতাগণ বলছেন, সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসাবে পুরোপুরি অলাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তোলার ব্যাপারে তাঁরা অঙ্গীকারবদ্ধ।

জানা যায়, ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠাক্রম অনুসারে দেশের ১০০তম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি অনুষদের অধীনে মোট ৪টি বিভাগ চালু রয়েছে। এরমধ্যে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের অধীনে, ব্যাচেলর অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) ও মাস্টার্স অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ)। ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের অধীনে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। আর ফ্যাকাল্টি অব হিউম্যানিটিজ এন্ড সোশ্যাল সাইন্সেস এর অধীনে বিএ (অনার্স) ইন ইংলিশ, এম এ ইন ইংলিশ এন্ড কালচারাল স্টাডিজ। একই অনুষদের অধীনে কোর্স অন প্রি-ইউনিভার্সিটি ইংলিশ পরিচালিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে আকর্ষণীয় স্কলারশীপ, বৃত্তি এবং ওয়েভার প্রদান করা হয়। যারমধ্যে পূর্ণ অনুদান (১০০%) থেকে শুরু করে আংশিক মওকুফসহ শিক্ষার্থীদের মোট ১৪টি ক্যাটেগরিতে স্কলারশীপ, বৃত্তি এবং ওয়েভার প্রদান করা হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা। রয়েছে হাতেকলমে শিক্ষাদানের জন্য আধুনিক দুটি ফিজিক্স ও কেমিস্ট্রি ল্যাব। এছাড়াও কম্পিউটার ল্যাব, টেক্সটাইল ল্যাব ও ল্যাংগুয়েজ ল্যাবও রয়েছে।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আইকিউএসি (ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি এ্যাসুরেন্স সেল) গঠন করে যা আইকিউএসি কর্তৃক গৃহীত যথাযথ পরিকল্পনা ও উদ্যোগের জন্য স্নাতকদের তৈরি এবং সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, বাংলাদেশ এক্রোডিটেশন কাউন্সিল (বিএসি) থেকে অনুমোদন অর্জনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ক্রমাগত উন্নতির জন্য কাজ করে চলেছে। আইএসইউতে জানুয়ারি-জুন এবং জুলাই-ডিসেম্বর বছরে দুটি সেমিস্টারের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর