বৈশ্বিক করোনার প্রভাবে ওলটপালট হয়ে গেছে উন্নয়নের গতিরেখা। স্থবিরতা নেমে এসেছে জনজীবনে। তাই বলে তো আর হাত-পা গুটিয়ে ঘরবন্দি থাকা যায় না। মানুষকে ঝুঁকির মুখে ফেলা এই বড় দুর্যোগ থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার তাই এখনই সময়।
চিটাগং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (সিআইইউতে) অনুষ্ঠিত 'বিশ্বজুড়ে কভিড : ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের করণীয়' শীর্ষক ওয়েবিনারে এমনই কথা বলেছেন বক্তারা।
সিআইইউর ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স, ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (আইজিডিআইএস) সম্প্রতি অনলাইনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে আন্তর্জাতিক অণুজীব বিজ্ঞানী, বিশিষ্ট চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ারসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, করোনার মতো বড় ধরনের মহামারিতে পর্যাপ্ত চিকিৎসাব্যবস্থা নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে চাই আগাম পরিকল্পনা। ভ্যাকসিন গ্রহণ, নিয়মিতভাবে মাস্ক ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিআইইউর উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন আইজিডিআইএসের পরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুর কাদের।
আমেরিকা ও ইংল্যান্ডের কভিড ব্যবস্থাপনার নানান দিক তুলে ধরে প্রাণবন্ত আলোচনায় অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞানী ড. মিজানুর রহমান ও ইংল্যান্ডের প্রিন্সেস রয়েল হাসপাতালের অণুজীব বিজ্ঞানী ড. হাসিন চেরী।
বাংলাদেশের কভিড পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠানে কথা বলেন চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মেহেরুন্নিসা খানম।
এ ছাড়া করোনাকালীন নিজের আবিষ্কৃত 'অক্সিজেট' তৈরির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বক্তব্য দেন বুয়েটের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌফিক হাসান।
জানতে চাইলে সিআইইউর আইজিডিআইএস-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুর কাদের বলেন, খালিচোখে দৃশ্যমান নয় এমন একটি ভাইরাস দুর্যোগ হয়ে আমাদের পথচলায় নানান প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার কিছু সুপারিশ তৈরির লক্ষ্য নিয়ে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার