এ বছরের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি), জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি), প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা হচ্ছে না। গত বৃহস্পতিবার পিইসি ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা বাতিলের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা বাতিলের প্রস্তাবও পাঠানো হবে। তবে পরীক্ষা না হলেও শ্রেণিকক্ষে মূল্যায়ন শেষে সনদ পাবে শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, জেএসসি ও পিইসি কোনো পাবলিক পরীক্ষা নয়। এই পরীক্ষা দুটি সরকারের নির্বাহী আদেশে নেওয়া হয়। এ জন্য এই পরীক্ষা না নিতে হলে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ বছরের পিইসি ও ইবতেদায়ি না নেওয়ার প্রস্তাব পাঠিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম জানান, ‘প্রাথমিক সমাপনী-সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবেন সে অনুযায়ী আমরা করণীয় ঠিক করব। তবে প্রাথমিক সমাপনী না হলেও আমরা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করব। সেটা স্কুলের নিজ নিজ পরীক্ষাও হতে পারে বা শ্রেণিকক্ষে অন্য কোনো মূল্যায়নও হতে পারে। মূল্যায়ন শেষে তাদের সনদ দেওয়া হবে।’
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা